Save Democracy in Birbhum: কয়লা খনির বিরুদ্ধে জনসভা, বিকাশ-আব্দুলদের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছে আদিবাসীরা

ডেউচা-পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চলে প্রস্তাবিত কয়লা খনির বিপক্ষে জোট বাঁধার আহ্বান জানাল সেভ ডেমোক্রেসি। যা নিয়ে জেলা জুড়ে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শনিবার প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চলের দেওয়ানগঞ্জ খেলার মাঠে এক সভা থেকে এই আন্দোলনে নামার ডাক দেন সংগঠনের নেতারা।

Jaydeep Das | Published : Dec 18, 2021 3:09 PM IST

কয়লাখনি হলে উচ্ছেদ করা হবে আদিবাসীদের। ডেউচা-পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চলে প্রস্তাবিত কয়লা খনির(Proposed coal mining) বিপক্ষে জোট বাঁধার আহ্বান জানাল সেভ ডেমোক্রেসি(Save Democracy)। যা নিয়ে জেলা জুড়ে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শনিবার প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চলের দেওয়ানগঞ্জ খেলার মাঠে এক সভা থেকে এই আন্দোলনে নামার ডাক দেন সংগঠনের নেতারা। যদিও বীরভূম জেলা(Birbhum district) আদিবাসী গাঁওতা নেতৃত্বের একাংশের দাবি স্থানীয় নয়, বহিরাগত কিছু মানুষজনকে নিয়ে বিভ্রান্ত তৈরি করার চেষ্টা করছে কলকাতার কিছু মানুষ। তবে এর পক্ষে বিপক্ষেও উঠে আসছে নানারকম মতামত।

এদিন সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য(CPM leader Bikash Ranjan Bhattacharya) এবং কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের(Congress leader Abdul Mannan) নেতৃত্বে শনিবার সেভ ডেমোক্রেসির হয়ে ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চলের দেওয়ানগঞ্জে জনসভা করেন। দিন তিনেক আগে এই জনসভার সমর্থনে বাইক মিছিল করে প্রকল্প এলাকায় লিফলেট ছড়ান হয়েছিল আদিবাসীদের পক্ষ থেকে। সেভ ডেমোক্রেসির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ডেউচা-পাঁচামি আদিবাসী জনজাতি ভূমিরক্ষা কমিটির ব্যানারে এদিনের সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "আদানি নামে এক ভদ্রলোক আছেন যিনি গুজরাটি। তিনি এই কয়লা খাদান টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছেন। যদি কয়লা হয় আপনার ঘরের কেউ কাজ পাবে না। আপনার ঘরের ছেলে মেয়েদের কুলি বানাবে। আসল কাজ করবে ওই খাদান যিনি কিনবেন তার লোকজন। যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন। তারাই কাজ পাবেন"। এদিকে বিকাশ ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যকে ঘিরে এদিন নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলাজুড়েই।

আরও পড়ুন-দুয়ারে সরকার শুরু হওয়ার আগেই মানুষের দুয়ারে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন, শুরু হল প্রস্তুতি শিবির

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বীরভূম জেলা আদিবাসী উন্নয়ন গাঁওতার নেতা রবিন সরেন বলেন," আজকে যে বাম নেতারা এলাকায় মিটিং করতে এসেছিল তারা নন্দীগ্রাম সিঙ্গুরে কিভাবে শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করেছিল তা আমরা সবাই দেখেছি। এলাকার মানুষকে মিথ্যা প্ররোচনা দিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিনের বৈঠকে যারা এসেছিলেন তারা বেশিরভাগই শিল্পাঞ্চল এলাকার বাইরের মানুষ। দাবি মতো প্যাকেজ পেলে এলাকার আদিবাসী মানুষজন শিল্পের পক্ষে। সরকারি প্যাকেজে উল্লেখ আছে সরকারি উদ্যোগেই কয়লাখনি হবে। এতে এত চিন্তার কী আছে। জমিদাতা সরকারি চাকরি পাবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। সেখানে এদিনের সভায় বেসরকারিকরণের কথা বলা হয়েছে"। তবে কয়লাখনি নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে যে মত পার্থক্য রয়েছে তা স্পষ্ট হচ্ছে ক্রমশ।  

Share this article
click me!