নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে ২৮ জুনের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ৯ জুন মামলার শুনানি চলাকালীন হলফনামা জমা নেওয়ার জন্য হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন মমতার আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। যদিও সেই সময় হলফনামা জমা নিতে অস্বীকার করেছিল হাইকোর্ট। এরপরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা। আজ সেই মামলার শুনানির সময় মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা জমা নেওয়ার জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুন- সরকারি চাকরি পেতে লাগছে মাত্র চার হাজার টাকা, ফর্ম ফিলাপ করলেই মিলছে নিয়োগপত্র
১৭ মে নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের মুক্তির দাবিতে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এরপর নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে ধরনায় বসেছিলেন তিনি। ধরনা শেষে প্রায় ৬ ঘণ্টা পরে তিনি নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়েছিলেন।
এই মামলায় প্রথমে সওয়াল করেন সিবিআইয়ের কৌঁসুলি তুষার মেহতা। তাঁর সওয়াল পর্ব শেষে অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল শুরু করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। শুনানির প্রায় ১৫ দিন পর ৯ জুন অভিষেকের সওয়ালের মাঝখানে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে হলফনামা জমার দেওয়ার আবেদন জানান রাকেশ দ্বিবেদী। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এক পক্ষের সওয়াল শেষে নতুন করে হলফনামা নিলে তার উপর ফের আলোচনা হবে। তাই তখন মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা জমা নেয়নি আদালত।
আরও পড়ুন- 'স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড' পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া দেশে-বিদেশে এই সুবিধা আছে কি, রইল হদিস
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মামলার পক্ষ হিসেবে যোগ করেছিল সিবিআই। নিয়ম মেনে মুখ্যমন্ত্রীকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছিল ৫ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী হলফনামা জমা দেন নির্দিষ্ট সময়ের পরে। এর পরই সেই হলফনামা গ্রহণ করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় আদালত। যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের নিয়ম অনুসারে কোনও মামলার ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়া যায়। যদিও তাঁর ওই যুক্তি ধোপে টেকেনি।
এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন মমতা। আজ সেই মামলার শুনানি শেষে ২৮ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। ২৯ জুন নারদ মামলার শুনানি আছে। তাই তার একদিন আগে হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী।