রায়গঞ্জে বাড়িওয়ালিকে গুলি ভাড়াটিয়া-র সঙ্গীর, মৃত এক মহিলা, জখম বাড়িওয়ালি ও তাঁর দাদা

গুলির শব্দ শুনে আতঙ্কে অনেক্ষণ বাইরে বের হননি প্রতিবেশীরা। এই সুযোগে ওই দুই ভাড়াটিয়া মহিলা এবং তাদের সঙ্গে থাকা লোকটি পালিয়ে যায়। একটি টোটো-তে তুলে রূপা অধিকারী ও তাঁর দাদা এবং বোন-কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

Asianet News Bangla | Published : Sep 27, 2021 5:41 PM IST / Updated: Sep 27 2021, 11:48 PM IST

রায়গঞ্জ শহরে শুট আউট (Raiganj Shoot-Out)। প্রকাশ্য রাস্তায় দুস্কৃতীদের এক বাড়িতে তান্ডব।  চলল এলোপাথাড়ি গুলি। মৃত ১ মহিলা,  আহত আরও এক মহিলা-সহ দুজন (One Woman Killed and 2 injured)। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক  ও চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর সুকান্ত মোড় এলাকায় (Raiganj, North Dinajpur)। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Raiganj Government Medical College Hospital)।  ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশবাহিনী (North Dinajpur District Police)। 

রাত ৮টা। উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের  ব্যস্ততম এলাকা দেবীনগরের সুকান্ত মোড়। সেখানেই একটি বাড়িতে  থাকেন রূপা অধিকারী ও তাঁর বাবা-মা। সেই বাড়ির সামনেই সোমবার সন্ধ্যায় পুরনো ভাড়াটিয়া দুই মহিলার সঙ্গে ঝামেলা বাধে রূপা অধিকারীর। এই দুই মহিলা ভাড়াটিয়া অন্যত্র চলে গেলেও এদিন সন্ধ্যায় তারা ফিরে আসে বলে অভিযোগ। ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রূপা অধিকারীর মেয়ে সৌরশ্রী  জানিয়েছেন, আচমকাই ওই দুই মহিলা তাঁর মায়ের দিকে মারমুখী হয়।  সেই সময় সেখানে উপস্থিত হন রূপা অধিকারীর দাদা সুজয়কৃষ্ণ মজুমদার এবং তাঁদের অন্য বোন দেবী স্যানাল। 

রূপা অধিকারীর মেয়ে সৌরশ্রীর অভিযোগ, পরিস্থিতি হাতের বাইরে দেখে পুলিশকর্মী সুজয়কৃষ্ণ মজুমদার মোবাইল ফোন থেকে পুলিশকে ফোন করতে যান। সেই সময়ই পুরনো ভাড়াটিয়া দুই মহিলার  সঙ্গে থাকা একটি লোক সটানে গুলি চালিয়ে দেয়। পরপর ৫বার সে গুলি করে বলে দাবি সৌরশ্রী-র। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন রূপা অধিকারী এবং তাঁর দাদা সুজয়কৃষ্ণ মজুমদার ও বোন দেবী স্যানাল। 

 

 

গুলির শব্দ শুনে আতঙ্কে অনেক্ষণ বাইরে বের হননি প্রতিবেশীরা। এই সুযোগে ওই দুই ভাড়াটিয়া মহিলা এবং তাদের সঙ্গে থাকা লোকটি পালিয়ে যায়। একটি টোটো-তে তুলে রূপা অধিকারী ও তাঁর দাদা এবং বোন-কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা দেবী স্যানাল-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রূপা অধিকারী এবং সুজয়কৃষ্ণের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। 

কে বা কারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর অভিজিৎ সাহা।  এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুস্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আর্শ ভার্মা। তিনি জানান, পুলিশ তদন্ত করছে। তাঁরা খুব শিগগিরি এই নিয়ে বিবৃতি দেবেন। 

 



 

 

Share this article
click me!