কড়া নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। তৃণমূল তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্য জুড়ে জারি করা হয়েছে আংশিক লকডাউন। কিন্তু সেই নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে সারাদিন ধরে খোলা হাট বাজার দোকানপাট। রায়গঞ্জে বাড়ছে অতিমারি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে মৃত্যুর মিছিল। তবুও অসচেতন মানুষ রাস্তায় নেমে বাজারহাট করতে মত্ত।
ফলে নিজেদের সচেতন হতে হবে এই বার্তা দিচ্ছেন রায়গঞ্জ শহরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসন তৎপর হলেও আংশিক লকডাউন মানছেন না এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী দোকানদার বলে অভিযোগ। রায়গঞ্জের মানুষের শুভবুদ্ধি উদয়ের আবেদন রেখে সচেতনতার প্রচারে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এরপরেও মানুষ সরকারি নির্দেশিকা না মানলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান।
এদিকে, অতিমারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে সারা রাজ্যের সাথে সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও। এখনও পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার পার করে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের। রাজ্য প্রশাসন করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১০ টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বাজার হাট, দোকানপাট খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন।
কিন্তু উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তা দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগ নির্দিষ্ট সময়ের পরেও খোলা রাখা হচ্ছে দোকানপাট। ভীড় দেখা যাচ্ছে রায়গঞ্জ শহরের আনাচে কানাচে। এমনকি অনেকেই মুখে মাস্কের ব্যবহারও করছেন না। ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও তীব্র হচ্ছে রায়গঞ্জ শহরে। রায়গঞ্জ শহরের পুর এলাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যাও। পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট তৎপতার সাথে আংশিক লকডাউন সফল করার প্রয়াস নিলেও কিছু অসচেতন মানুষের কারনে তা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা চাইছেন খাপছাড়া লকডাউন না করে এক বেলা দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বাজার হাট, দোকানপাট খোলা রেখে তারপর সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হোক। সাধারন মানুষ চাইছেন যেভাবে রায়গঞ্জ শহর তথা উত্তর দিনাজপুর জেলায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে তাতে সম্পূর্ণ লকডাউন করে দেওয়া হোক।
রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরসভা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন থেকে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আংশিক লকডাউন সফল করার কিন্তু একশ্রেনীর ব্যবসায়ী দোকানদার মানছেন না। এরপর বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসন বাধ্য হবে।