বাড়ির থেকে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রেমিকের কথায় বিশ্বাস করে ঘর ছেড়েছিল ষোল বছরের মেয়েটি। প্রেমিককে বিশ্বাস করে তাঁকে বিয়েও করেছিল সে। কিন্তু বিয়ের পর মাত্র দু' মাস যেতে না যেতেই রহস্যজনক মৃত্যু হল ওই নাবালিকার। মৃতার পরিবারের অভিযোগ বিষ খাইয়ে পূজাকে খুন করেছে তার স্বামীই। ঘটনার পরে অভিযুক্তকে মারধরও করেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা।
মৃতার পরিবারের দাবি, গত মার্চ মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে নিউ টাউনের পাথরঘাটার বাসিন্দা প্রশান্ত মণ্ডলকে বিয়ে করে পূজা। অভিযোগ, কিছুদিন পর থেকেই পূজা ফোন করে বাবাকে জানায়, শ্বশুরবাড়িতে তার উপরে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে। মেয়ের উপরে অত্যাচারের খবর পেয়ে একাধিকবার প্রশান্তকে পূজাকে ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় বলে মৃতার পরিবারের দাবি। তা সত্ত্বেও পূজাকে ফেরায়নি প্রশান্ত।
অভিযোগ, শনিবার বিকেলে প্রশান্ত পূজার বাবাকে ফোন করে জানায়, মেয়ের শরীর খুব খারাপ। তিনি যেন দ্রুত বিধাননগর হাসপাতালে চলে আসেন। পূজার বাবার দাবি, হাসাপাতলে গিয়ে তাঁরা দেখেন, পূজার মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই পূজার স্বামীর উপরে চড়াও হন তার বাপের বাড়ির লোকেরা। তাকে মারধরও করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার। তা থেকেই পূজার পরিবারের সন্দেহ, অত্যাচারের পরে তাঁদের মেয়েকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। মেয়েকে খুনের অভিযোগে পূজার পরিবারের পক্ষ থেকে কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃতার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও আটকও করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঠিক কী কারণে মৃত্যু এবং তার আগে পূজার উপরে অত্যাচার হয়েছিল কি না, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই তা অনেকটা স্পষ্ট হবে।