বিধায়কের আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়াল এবং তাঁর দুই সঙ্গী শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতিদমন শাখা। এদিকে তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন।
চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রার্থীদের থেকে টাকা নেওয়ার অবিযোহ তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা-সহ তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চাকরি তো কোনওভাবেই মেলেনি। পাশাপাশি সেই টাকা ফেরত দিতেও অস্বীকার করেছিলেন বিধায়ক। বিধায়কের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিধায়কের আপ্তসহায়ক সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও তাঁক বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তাপস সাহা। তাঁর অভিযোগ, দলেরই একাংশ গভীর ষড়যন্ত্র করেছেন।
বিধায়কের আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়াল এবং তাঁর দুই সঙ্গী শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতিদমন শাখা। এদিকে তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন। এমনকী রাজনীতিও ছেড়ে দেবেন তিনি। আপ্তসহায়ক গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি বলেন, "প্রথম দিন থেকেই নির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। জেলা পরিষদের সদস্য তৃণা সাহা ভৌমিক ও দিলীপ পোদ্দার আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছেন। যাতে আমি ফেঁসে যাই সেই কারণে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন- আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ, ধৃত তৃণমূল বিধায়কের আপ্তসহায়ক-সহ ৩
সম্প্রতি তাপসের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী অভিষেককে চিঠিও লিখেছেন। এদিকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠার পরই গা ঢাকা দিয়েছিল তিন অভিযুক্ত। এরপর শুক্রবার রাতে রায়দিঘিতে তল্লাশি চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও আপ্তসহায়কের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না বলেই দাবি করেন তেহট্টের বিধায়ক। অবশ্য ২০১৬ সাল থেকে বিধায়কের আপ্ত সহায়ক হিসেবে নিযুক্ত ছিল বছর চল্লিশের প্রবীর। তেহট্টের খাসপুর বয়ারবাদা এলাকার বাসিন্দা-সহ তিনজনই অভিযোগ ওঠার পর গা-ঢাকা দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘অস্বস্তি’-তে দল। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, যত বড় রাজনৈতিক নেতাই হন না কেন, দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকে রেয়াত করা হবে না। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযোগ এলে যে দলের যত বড়ই নেতা হন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।
আর এনিয়ে ফেসবুকে সরব হয়েছেন নদিয়ারই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি লেখেন, "মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলছেন যে, দলকে সামনে রেখে কোনও রকমের তোলাবাজি করা যাবে না, চাকরি দেওয়ার নাম করে, টেট প্যানেলে নথিভুক্ত করার নাম করে, সরকারি কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ যদি মানুষকে প্রতারণা করে তবে, নির্ভয়ে এখুনি পুলিশ বা আমার অফিসে লিখিত অভিযোগ করুন।"