সরকারি অতিথিশালায় এক মহিলার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রাখার অভিযোগে ধৃত তৃণমূল বিধায়কের সুব্রত সাহার ছেলে সপ্তর্ষি সাহার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। একই সঙ্গে জামিন পেলেন না সপ্তর্ষির সঙ্গেই অতিথিশালা থেকে ধৃত বহরমপুর পুরসভার এক মহিলা কর্মী। এ দিন বহরমপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দু' জনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার বহরমপুর স্টেশনের কাছেই পূর্ত দফতরের অতিথিশালা থেকে ওই মহিলার সঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়েন সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার ছেলে সপ্তর্ষি সাহা। বিধায়ক পুত্রের স্ত্রীই অতিথিশালায় হানা দিয়ে স্বামীর কুকীর্তি ফাঁস করেন। সপ্তর্ষির ঘরের বাথরুমের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন তাঁর প্রেমিকা ওই মহিলা। এর পরেই বহরমপুর থানার পুলিশ গিয়ে দু' জনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন- শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় জামাইয়ের পরকীয়া, গাছে বেঁধে শাস্তি গ্রামবাসীদের
কয়েক বছর আগে পেশায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক সপ্তর্ষি সাহার সঙ্গে বিয়ে স্কুল পরিদর্শক অমৃতা বিশ্বাসের। দু' জনের একটি এক বছরের সন্তানও রয়েছে। অমৃতাদেবীর অভিযোগ, প্রায় ছ' মাস ধরে সপ্তর্ষি তাঁর উপরে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছিলেন। সপ্তর্ষির একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন অমৃতাদেবী। তিনি জানান, অনেক দিন ধরেই সপ্তর্ষি সরকারি অতিথিশালায় মহিলাদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করছিলেন বলে তাঁর কাছে খবর ছিল। সেই সূত্রেই পুলিশে খবর দিয়ে বৃহস্পতিবার অতিথিশালায় হানা দেন তিনি।
সূত্রের খবর, অনেক বার ডাকাডাকির পরে ঘরের দরজা খোলেন সপ্তর্ষি। এর পরে ঘরে ঢুকে প্রথমে আলমারি খুলে দেখেন অমৃতাদেবী। শেষে বাথরুমের দরজা খুলতেই খোঁজ মেলে বহরমপুর পুরসভার কর্মী সপ্তর্ষির প্রেমিকার। এর পরেই পুলিশ গ্রেফতার করে দু' জনকে।
অমৃতাদেবী বলেন, 'উনি আমার এবং আমার শিশুপুত্রের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। গোটা বিষয়টি আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবো।' সপ্তর্ষির থেকে বিবাহবিচ্ছেদও চেয়েছেন তিনি।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে সপ্তর্ষির পাল্টা দাবি, 'এই অভিযোগ মিথ্যে। আমার সঙ্গে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অনেকেই সারাদিন দেখা করতে আসেন। এটা আলাদা কিছু নয়।' জেলা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা এবং বিধায়ক সুব্রত সাহার ছেলে এ ভাবে গ্রেফতার হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাইছেন না জেলা তৃণমূলের নেতারা।