বাঁশদ্রোণীর পর ফের শুটআউটের ঘটনা রাজ্যে। পুলিশের গাড়িতে চড়ে এসে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল এবার সোনারপুরে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুলি চালানোর ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাঁশদ্রোণীর পর ফের শুটআউটের ঘটনা রাজ্যে। পুলিশের গাড়িতে চড়ে এসে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল এবার সোনারপুরে। গোটা ঘটনাটি ধরা পডে়ছে এলাকার সিসিটিভিতে। প্রকাশ্যে এসেছে সেই সিসিটিভি ফুটেজ। শুটআউটের এই ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের থানার কাছে সোনারপুর ফ্লাইওভারের নীচে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুলি চালানোর ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের আগে এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ সোনারপুরের থানার কাছে সোনারপুর ফ্লাইওভারের নীচে মাছের আড়তের কাছে আসে গোপাল হালদার নামে এক ব্যাক্তি। প্রথমে উপস্থিত লোকজনকে সে হুমকি দেয়। তারপরেই গুলি চালানো শুরু করে। তবে এই ঘটনায় কেউ গুলিবিদ্ধ হননি। সবথেকে আশ্চর্যজনক ঘটনাটি হল ওই দুষ্কিতি পুলিশের গাড়ি চেপে এসেছিল। শুটআউটের পর নিজেই আবার পালিয়ে যায়। এদিকে এহেন ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সোনারপুরে। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে ভয়ে মুখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, 'জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূল যাচ্ছে, বাঁকুড়ায়-শিবপুরে-ইসলামপুরে কে যাবে', বিস্ফোরক দিলীপ
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুলি চালানোর ঘটনায় গোপাল হালদার সহ মোট ৫ জনকে গাসিয়াড়া মোড় সংলগ্ন পেট্টোল পাম্প থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত গোপাল হালদার ছাড়াও পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দীপক দেবনাথ, জয়দেব দাস, মনোরঞ্জন দাস এবং দীপ মন্ডল। ধৃতদের বিরুদ্ধে আর্মস অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের এদিন বারুইপুরের আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন, দরজা আটকে বাইরে পাহারা দিলেন মহিলা, নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী-সহ ৪
সূত্রের খবর, গোপালের মাছের আড়তের সঙ্গে একজনের লেনদেন নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। রাতে যে ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে থাকবে বলে জানতে পারে গোপাল। পুলিশের গাড়ি নিয়ে এলে কেউ সন্দেহ করবে না এবং পালানো সহজ হবে ভেবেই ছক কষে মূল অভিযুক্ত। কিন্তু মাছের আড়তে এসে দেখে সেই ব্যাক্তি নেই। তাই গুলি চালিয়ে এলাকা গরম করে চলে যায় গোপাল। তবে এই ঘটনায় এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। পুলিশ স্টিকার লাগানো গাড়িরও খোঁজ চলছে।
যদিও রাজ্যের একরপর এক অপরাধের ঘটনায় চাপের মুখে প্রশাসন। কারণ ২০২২ সালে পা দিয়েই ঘটেই চলে একের পর এখ শুট আউটকাণ্ড। রাজ্যে ইথিমধ্যেই বড়বড় ২ টি কেস চলছে। এক ঝালদা কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ড এবং বীরভমের ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ড।কলকাতা হাইকোর্ট এই দুটি মামলাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ফের শহরের বুকে অপরাধের ঘটনায় চাপ বেড়েছে শাসকদলের।