সংক্ষিপ্ত

হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। নির্যাতিতার পরিবারকে মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার জন্য বন্দ্য়োবস্ত করতে বলেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। নির্যাতিতার পরিবারকে মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার জন্য বন্দ্য়োবস্ত করতে বলেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

কলকাতা হাইকোর্ট প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প (উইটনেস প্রোটেকশন প্রোগাম) অনুযায়ী, যতদ্রুত সম্ভব নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার বন্দ্য়োবস্ত করতে হবে। যতদিন তা না করা হচ্ছে, ততদিন রাজ্যকে নির্যাতিতার পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যকে নির্যাতিতার পরিবার-পরিজনদের মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার জন্য বন্দ্য়োবস্ত করতে বলেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। নির্যাতিতার পরিবার-পরিজনদের কাউন্সিলিং করাতে হবে। উল্লেখ্য সিবিআই হাঁসখালিকাণ্ডের নির্যাতিতা প্রেমিক তথা তৃণমূল নেতার ছেলে সোহেল গোয়ালির বন্ধুদের ইতিমধ্য়েই দফায় দফায় জেরা করেছে। 

আরও পড়ুন, দরজা আটকে বাইরে পাহারা দিলেন মহিলা, নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী-সহ ৪

সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস।  রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা।  এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি।  

আরও পড়ুন, ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে তরুণীকে অসংখ্যবার ধর্ষণ, শিউরে উঠেছে কোন্নগরবাসী, ধৃত ৪

ঘটনার পরেই হাঁসখালি থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগে জানানো হয়। মেয়ের মৃত্যুর পরে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। আর তাতে জড়িত ছিল ব্রজগোপাল এবং তার দলবল। এরপরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজগোপালকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মৃতের মা-বাবা গণধর্ষণের অভিযোগ করলেও ,এফআইআর-এ ধর্ষণের অভিযোগ করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। তাঁছাড়া ৪ দিন ধরে কী করেছে হাসখালি থানার পুলিশ শেই প্রশ্নও উঠেছে। তবে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার পর এবং বয়ানে একাধিক নতুন তথ্য উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য

হাঁসখালি এফআইআর-এ নির্যাতিতার বাবা এবং দাদার নাম রয়েছে জানিয়েছে সিবিআই। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে এহেন খবর পেয়ে হতবাক মৃতার মা।   এক পুলিশ কর্তার দাবি, মায়ের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এফআইআর-এ ওই দুই জনের নাম রয়েছে। মূলত, হাঁসখালিকাণ্ডের শিকড়ে পৌঁছতে জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। চলছে এরই সঙ্গে বয়ান রেকর্ড।