কান্দি মাস্টারপ্ল্যানের দৌলতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা- নেত্রীরা নিজেদের মতো করে ফায়দা তুলতে ব্যস্ত থাকেন বলেও অভিযোগ। বাস্তবে খুব একটা উপকার মেলে না হতভাগ্য কান্দি মহকুমার কয়েক লক্ষ মানুষের কপালে।
সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের (Irrigation Minister Soumen Mohapatra) উদ্যোগ। কান্দি মাস্টার প্ল্যানের (Kandi Master Plan) সঙ্গে জুড়ে গেল শহরের নিকাশি ব্যবস্থা (sewerage system)। তবে বাস্তবতা নিয়ে সংশয় রয়েছে জেলাবাসীর মধ্যে। খবরটি পেলেও কিছুতেই যেন কাটছে না সংশয়! আদৌ কি সত্যি হবে প্রতিশ্রুতি, নাকি রাজনীতির জাঁতাকলে পড়ে মাঝপথেই মারা পড়বে সবকিছু। এমনটাই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পুরো এলাকাবাসীর মধ্যে। জল্পনা চলছে মুর্শিদাবাদের বহু চর্চিত 'কান্দি মাস্টারপ্ল্যানের' সঙ্গে শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বাস্তবতা নিয়ে।
ভোট আসে, ভোট মিটে যায়। আর কান্দি মাস্টারপ্ল্যানের দৌলতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা- নেত্রীরা নিজেদের মতো করে ফায়দা তুলতে ব্যস্ত থাকেন বলেও অভিযোগ। বাস্তবে খুব একটা উপকার মেলে না হতভাগ্য কান্দি মহকুমার কয়েক লক্ষ মানুষের কপালে। আর সেক্ষেত্রে দীর্ঘ টালবাহানার পরে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের কাছ থেকে মুর্শিদাবাদের কান্দি শহরের বুকে 'কান্দি মাস্টারপ্ল্যান ' এর সঙ্গে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করার সবুজ সঙ্কেত মেলে।
এর বিষয়ে বিধায়ক অপূর্ব সরকার জানাতেই এতেই গোটা শহর জুড়ে যেমন খুশির আমেজ তৈরি হয়েছে, পাশাপাশি সংশয়ও দেখা দিয়েছে এর বাস্তবতা কে নিয়ে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়িত হলে কান্দি শহরের প্রধান নিকাশি নালা স্বরূপ খালের সংস্কার করবে এখন থেকে সেচদপ্তর।বহু বছর থেকে ওই নালা কার্যত বেদখল হয়ে পড়ায় শহরের নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই নালাটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প ‘কান্দি মাস্টার প্ল্যান’-এর অর্ন্তভুক্ত করে তা সংস্কারের জন্য নতুন করে নকশা তৈরি করা হবে।
বিধানসভায় কান্দির বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান খোদ সেচমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, কান্দি শহরের কানা ময়ূরাক্ষী নদী থেকে ওই নিকাশি নালা বেড়িয়েছে। এরপর শহরের এক পাশ দিয়ে সেটি এলাকার বাঘবাটি গ্রামের কাছে শেষ হয়েছে। প্রায় ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ওই নিকাশি নালাটির। একসময় এটি প্রায় ৩৫ মিটার চওড়া থাকলেও, এখন কোথাও পাঁচ মিটার কোথাও বা তার থেকে সামান্য বেশি চওড়া রয়েছে। কান্দি শহরের উপর দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার চলে গিয়েছে ওই নালা।
কিন্তু শহরের কার্যত সব জায়গাতেই নালা দখল করে দোকানঘর ও বাড়ি তৈরি হয়েছে। ফলে নিকাশি নালার অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। শুধু বর্ষার সময় ছাড়া বছরের অন্য সময় নালা মশার আঁতুড়ঘর হয়ে দাঁড়ায় বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। অথচ এক সময় এই নালা ছিল কান্দি শহরের প্রধান নিকাশি ব্যবস্থা। বাসিন্দারা বলেন, ছোটবেলায় দেখেছি গোটা বছর ধরে ওই নালা দিয়ে শহরের জল নিকাশ হতো। যা এখন আর হয় না। ওই নালা সংস্কারের জন্য বাসিন্দারা বহু বছর ধরে দাবি করে আসছেন। এনিয়ে বাসিন্দারা বহুবার কান্দি পুরসভা ও প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্মারকলিপি দিয়েছেন। অবশেষে সেই সমস্যা মিটতে চলেছে।
Farm Law Repealed-২৪শে নভেম্বর কৃষি বিল বাতিলে অনুমোদন ক্যাবিনেটের
Cricket Special Train-ইডেনে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ,হাওড়া থেকে চলবে স্পেশাল ট্রেন
কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার জানান, আমি কান্দির বাসিন্দাদের জন্য বিধানসভায় প্রশ্ন তুলেছি। তার উত্তরে সেচ মন্ত্রী জানিয়েছেন, কান্দির স্বরূপখাল বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প কান্দি মাস্টার প্ল্যানের অর্ন্তভুক্ত করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতির উপর বিচার করে খাল সংস্কারের নতুন নকশা তৈরি করা হচ্ছে। নকশার কাজ সম্পূর্ণ হলে নালা সংস্কার করা হবে"।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা সিঁদুরে মেঘ দেখে জানাচ্ছেন, এরকম বহু আশ্বাস আমরা অতীতেও পেয়েছি। এই পর্যন্তই তা বাস্তবে পরিণত হয়নি। এক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত শিঁকে ছিড়বে তো। সেই প্রশ্নে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মধ্যে।