পথে অতিরিক্ত সরকারি বাস, বনধ ব্যর্থ করতে কোমর বেঁধে নামছে প্রশাসন

  • বুধবার বাম- কংগ্রেস ট্রেড ইউনিয়ন-এর ভারত বনধ 
  • বনধ ব্যর্থ করতে কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য় সরকার
  • পথে নামানো হবে অতিরিক্ত সরকারি বাস
  • বেসরকারি যানবাহনও স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস

debamoy ghosh | Published : Jan 7, 2020 9:54 AM IST


বাম- কংগ্রেস ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা চব্বিশ ঘণ্টার বনধে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে বুধবার ২২ শতাংশ অতিরিক্ত সরকারি বাস চালাবে রাজ্য পরিবহণ দফতর। বেসরকারি বাস মালিকরাও পথে বাস নামানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলেই দাবি পরিবহণ দফতরের। 

রাজ্য সরকারের তিনটি পরিবহণ নিগমকেই বুধবার অতিরিক্ত বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি তিনটি নিগম মিলিয়ে চারশোর বেশি অতিরিক্ত বাস বুধবার পথে নামানো হবে। কলকাতা এবং শহরতলিতে সরকারি বাস পরিষেবার দায়িত্বে থাকে মূলত ডব্লিউবিটিসি। অন্যান্য দিন যেখানে তারা ৯০০ বাস চালায়, সেখানে বুধবার ১১৫০ টি বাস পথে নামানো হবে। কলকাতার মতোই জেলাতেও অতিরিক্ত বাস চালাবে সরকার। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম ৬৯২ টি বাসের পরিবর্তে ৮২৬টি  বাস চালাবে। উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগম ৬০৫টির বদলে ৬৫৫টি বাস চালাবে। হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন, বিমানবন্দরে যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখছে পরিবহণ দফতর। যাত্রীদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি হেলপলাইন নম্বরও রাখছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। পরিবহণ দফতরের সদর দফতরের হেলপলাইন নম্বরটি হল ০৩৩-২২৬২-৫৪০৯। কসবা ট্রান্সপোর্ট ডিরেক্টোরেট- এর হেলপলাইন নম্বরটি হল- ০৩৩-২৪৪২-০২৭৮। এছাড়াও প্রয়োজনে বেলতলা পিভিডি-র হেল্পলাইন নম্বরেও ফোন করা যাবে। নম্বরগুলি হল, ০৩৩-২৪৭৫-১৬২১, ১৮০০-৩৪৫৫-১৯২ (টোল ফ্রি)। বেলতলা পিভিডি-র হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হল ৮৯০২০১৭১৯১।

পরিবাহণ দফতরের দাবি, বুধবার রাজ্য জুড়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেসরকারি, বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব এবং অটো মালিকদের সংগঠনগুলি। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করা কোনও গাড়ির যদি বনধের দিন রাস্তায় বেরিয়ে হামলার জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাহলে তাদের জন্য ছ' লক্ষ টাকার বিমার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকেব।  

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বনধের বিরোধিতা করে আসছেন। সোমবারও গঙ্গাসাগরে গিয়ে তিনি জানান, বনধে- এর ইস্যুকে সমর্থন করলেও ঘোষিত নীতি মেনে বনধ সমর্থন করছেন না তিনি। ফলে, প্রত্যাশিতভাবে বনধ ব্যর্থ করতে কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য প্রশাসন। 
 

Share this article
click me!