কবিগুরুর জন্মদিনে চাঁদার টাকায় রবীন্দ্র মূর্তি স্থাপন, খুশির হাওয়া নদিয়ার শান্তিপুরে

কবিগুরুর জন্মদিনে রবীন্দ্র মূর্তি স্থাপন 
খুশির হাওয়া নদিয়ার শান্তিপুরে 
দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল দুটি মূর্তি 
আগেই বসেছে নেতাজির মূর্তি 

Asianet News Bangla | Published : May 9, 2021 4:32 PM IST

দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। আর সেই দাবি পুরণ হল রবিবার কবিগুরুর জন্মদিনে। তাতে রীতিমত খুশি  নদিয়ার শান্তিপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম শান্তিপুরের নৃশিংপুরের বাসিন্দারা। একটি প্রমাণ সাইজের রবি ঠাকুরের মূর্তি পেয়ে কচিকাচাদের সঙ্গে খুশি হাওয়া বড়দের মধ্যেও। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের কারণে খুশির হাওয়া কিছুটা বাধ সেধেছে। কিন্তু তাবলে রবীন্দ্র জয়ন্তীর উৎসবে কোনও খামতি ছিল না। প্রথা মেনেই পাল করা হল কবিগুরুর জন্মদিন। 

 নেতাজি বা রবীন্দ্রনাথ মানে  সরস্বতী লক্ষী কিংবা কার্তিক গণেশ এর মতন আর পাঁচটা ঠাকুরের মতো। ঠাকুরের সিংহাসনের স্থান পায় মণীষীদের ছোট ছোটো মূর্তি। পাঁচ ছ কিলোমিটার দূরে শান্তিপুর শহরে ২৩ জানুয়ারি বা  বাইশে শ্রাবণ কিংবা ২৫ বৈশাখ যখন পালিত হতো তখন তারা মনোকষ্টে ভুগতো। তাঁদের  পরিবার বা পাড়ার অন্য সদস্যদের দেখাতে পারার জন্য। এখন অবশ্য এন্ড্রয়েড মোবাইলে দৌলতে কিছু বছর যাবত তা সম্ভব হচ্ছে। তবুও মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে তার সম্পর্কে দু-চার কথা বলার সৌভাগ্য কয়জনেরই  বা হয়! তার ওপর মফস্বলের অত্যন্ত গ্রাম্য পরিবেশে ধান চাল আড়ৎ এ কাজ করা শ্রমিক পরিবারের কাছে তা একেবারেই অনভিপ্রেত। কিন্তু ওই অঞ্চলের সুখের ঠিকানা নামক একটি সংস্থায় এ প্রজন্মের পড়াশোনা করা কিছু ছেলে মেয়ে এলাকার সকল বিত্তশালী মানুষদের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা তুলেছিলেন শুধু মাত্র দুটি মূর্তি  স্থাপন করার জন্য। তা হলো নেতাজি এবং রবীন্দ্রনাথের। সেইমতো দুটি মূর্তির অর্ডার দেওয়া হয় একই সাথে ,গত তেইশে জানুয়ারি ২০২১ এ নৃসিংহ পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল গেটের এক পাশে স্থাপিত হয়েছিলো নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি।  আর তার  কিছুদিন বাদে ২৫ শে বৈশাখ কবিগুরু জন্মদিনে  অপর এক পাশে স্থাপন করা হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি। 

এলাকার  অধিবাসীরা জানান, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা পুজো দেওয়ার দায়িত্ব তাঁরা নিচ্ছেন। এতদিন সিংহাসনেই পুজো  দিয়ে এসেছি ! এবার বড় হল মূর্তি স্কুলের গেটে!  পার্থক্য শুধু এইটুকু। এলাকায় দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যত আজ থেকে শুরু হল রবি পুজো। কচিকাচাদের মুখে ফুঠলো হাসি, গর্বিত অধিবাসী।

Share this article
click me!