'বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুক সরকার', মুম্বই থেকে কাতর আর্জি বাংলার পড়ুয়াদের

  • লকডাউনে দুর্ভোগ চরমে
  • মুম্বইয়ে আটকে বাংলার পড়ুয়ার
  • বাড়ি ফিরতে চাইছেন সকলেই
  • সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি

Asianet News Bangla | Published : May 5, 2020 9:38 AM IST / Updated: May 05 2020, 04:07 PM IST

লকডাউনের জেরে তাঁদের তো দুর্ভোগ কম পোহাতে হচ্ছে না! রাজ্য সরকারের কাছে ফেরার ব্যবস্থা করার আর্জি জানালেন মুম্বই-এ আটকে পড়া পড়ুয়ারাও। ভিডিও কলের মারফৎ নিজেদের দুরাবস্থা কথা জানিয়েছেন তাঁরা। উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারের লোকেদেরও।

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে 'সামাজিক বয়কট', বিপাকে সরকারি হাসপাতালের কর্মীরা

লকডাউন আপাতত উঠছে না। তৃতীয় দফায় মেয়াদ বেড়েছে আরও দুই সপ্তাহ। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তারও কোনও ঠিক নেই। স্রেফ রাজস্থানের কোটা শহরেই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন পড়ুয়ারা। যে করেই হোক বাড়ি ফিরতে চাইছেন সকলেই।

জানা গিয়েছে, মুম্বই-এর আন্ধেরি, চেম্বুর ও লাগোয়া এলাকায় কার্যত বন্দিদশায় দিন কাটছে  টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোস্যাল সাইন্স-এর ছাত্রছাত্রীদের। তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ জন এ রাজ্যের বাসিন্দা। বেশিরভাগেরই বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। করোনা সতর্কতায় মুম্বই শহরের বেশিরভাগ এলাকা সিল করে দিয়েছে প্রশাসন। বাড়ি থেকে বেরনোর তো প্রশ্নই নেই।  নিত্য প্রয়োজনী সামগ্রীও পাওয়া যাচ্ছে না, আনাজপাতির দাম উর্দ্ধমুখী। এভাবে আর কতদিন চলবে! প্রবাসে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে এ রাজ্যের পড়ুয়াদের। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন বা পুলিশের তরফেও কোনও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না বলেই চলে। 

কেউ  বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন, তো কেউ আবার ফ্ল্যাটে থাকেন। বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে অনেকেরই। এরপর থাকবেন কোথায়? তা নিয়েও দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে। ভিডিও কলের মারফত পড়ুয়াদের কাতর আর্জি, রাজস্থানের কোটার মতোই মুম্বই থেকে তাঁদেরও ফেরার ব্যবস্থা করুক সরকার।

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন: লকডাউনের বাজারে রেশন দুর্নীতি নিয়ে স্মারকলিপি, গ্রেফতার বিজেপির জেলা সভাপতি

আরও পড়ুন: নিঃখরচায় ব্যাগভর্তি বাজার, লকডাউনে মানবিক উদ্যোগ বাঁকুড়ার ক্লাবের

উল্লেখ্য, এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজস্থানের কোটা শহরে পড়তে গিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। সেখানে হস্টেলে থাকতেন তাঁরা।  বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না, লকডাউনের জেরে দুর্ভোগ বাড়ছিল ক্রমশই। এমনকী, হস্টেল কর্তৃপক্ষও নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত রাজ্য় সরকারের উদ্যোগে বাড়ি ফিরেছেন সকলেই।

Share this article
click me!