বাংলায় কলেজ দখলের প্রথম ধাপ, অধ্যক্ষকে গেরুয়া তিলক এবিভিপির

  • ছাত্ররা শিক্ষকের ঘরে ঢুকতে চাইলে শিক্ষক না করবেন কেন!
  • কিন্তু কাজটা সেরে ফেলেই তিনি বুঝতে পারেন কাজটা খুব ঠিক হয়নি।
  • ছাত্ররা নিছক বার্তালাপের জন্যে আসেনি। 

arka deb | Published : May 29, 2019 3:28 AM IST

ছাত্ররা শিক্ষকের ঘরে ঢুকতে চাইলে শিক্ষক না করবেন কেন! কিন্তু কাজটা সেরে ফেলেই তিনি বুঝতে পারেন কাজটা খুব ঠিক হয়নি। ছাত্ররা নিছক বার্তালাপের জন্যে আসেনি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মিষ্টি খাইয়ে, তার কপালে গেরুয়া তিলক কেটে দিল গড়বেতা কলেজের ছাত্ররা। কারণ একটাই, লোকসভা ভোটে গড়বেতায় লিড পেয়েছে এবিভিপি।

কলেজের তরফে জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের ডেরা ছিল এই কলেজ। আজ যারা বিজেপির উত্থানে পাল্টি খেয়ে জয় শ্রীরাম তোপ জাগছে, তারা তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনই করত এতকাল রাতারাতি গেরুয়ে জ্যাকেট পরে নিয়েছে তারা। কলেজে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বকলমে ইউনিয়নের মুখ তারাই। এই বার্তাই তারা দিয়ে রাখল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল বেরাকে।


কিন্তু অধ্যক্ষ এটা মেনে নিল কেন? সুশীলাবাবু বললেন, 'ওরা কলেজেরই ছাত্র। সকলের মুখ চিনি। ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি ওরা এমনটা করতে পারে।'

রবিবার কলেজে জয়েন্ট এন্ট্রাসের পরীক্ষার সিট পড়েছে, তাই তার আগে শনিবার তৃণমূলের পতাকা খুলে এবিভিপির পতাকায় কলেজ মুড়ে দেয় ছাত্ররা। চলে একে অন্যেকে মিষ্টিমুখ করানো। ছাত্রদের মধ্যে আবীর খেলাও চলেছ। এই 'আনন্দ উৎসব শেষ হয় অধ্যক্ষকের কপালে তিলক টেনে। 

বিরোধীরা এ বিষয়ে যে দাবি করছে তা শুনলে চক্ষু চড়কাগাছ হবে। বিরোধীদে দাবি, এরা বহিরাগত, ক্যাম্পাসের গেরুয়াকরণই
এদের লক্ষ্য।

এবিভিপি অবশ্য দাবি করছে, ছাত্রছাত্রীরা নিজে থেকে এগিয়ে আসছে গেরুয়া পতাকার কাছে। রুখে দিচ্ছে তৃণমূলের অত্যাচার। তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হবে। 

তবে এই আগ্রাসন বাংলায় নতুন নয়। ক্ষমতায় আ সার পরে, তৃণমূলও কম অরাজকতা করেনি এই রাজ্যের কলেজগুলিতে। ইউনিয়ন দখল, গুণ্ডামি, ছাত্র ভর্তির টাকা তোলা সবই চলেছে দিনের আলোয়। এই ঘটনা তারই প্রতিলিপিকরণ মনে করছে আম জনতা। 
 

Share this article
click me!