ভবিষ্যতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্যাঁচার ভাণ্ডারে পরিণত হতে পারে, বললেন সুকান্ত

জেলা সফরে বেরিয়ে বৃহস্পতিবার বীরভূমে পৌঁছান বর্তমান ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি। এরপর রাতেই তারাপীঠে পৌঁছে যান তাঁরা। আজ সকালে পুজো দিয়ে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। 

Asianet News Bangla | Published : Oct 22, 2021 11:37 AM IST / Updated: Oct 22 2021, 09:40 PM IST

“লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) প্যাঁচার ভাণ্ডারে পরিণত হবে কিনা তা ভবিষ্যৎ বলবে”। শুক্রবার তারাপীঠে (Tarapith) পুজো দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তারাপীঠে একই সঙ্গে এদিন মা তারার পুজো দেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
    
জেলা সফরে বেরিয়ে বৃহস্পতিবার বীরভূমে পৌঁছান বর্তমান ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি। এরপর রাতেই তারাপীঠে পৌঁছে যান তাঁরা। আজ সকালে পুজো দিয়ে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মা তারার কাছে প্রার্থনা করলাম বাংলায় যেন শান্তি ফিরে আসে। আমাদের কাছের জায়গা বাংলাদেশে (Bangladesh) যে পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে যেন তা না হয়। মা তারা যেন পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ হতে না দেন সেই প্রার্থনা করলাম”। 

আরও পড়ুন- গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের ঘটনায় আটক আরও ২, প্রমাণ লোপাট করতে গিয়েই পুলিশের জালে মিঠু

রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করে সুকান্তবাবু বলেন, “রাজ্য সরকারের কোষাগারের অবস্থা ভালো নয়। অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে কেন্দ্রের কিছু প্রকল্প রাজ্যে চালু করতে সরকার রাজি হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে জানতে পারলাম। রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ধারণা নেই। অর্থমন্ত্রী রাজ্যের অর্থনীতি দেখেন না। মুখ্যমন্ত্রী যখন যা খুশি ঘোষণা করেন। এমনকি ডি এ ঘোষণা করলেও মুখ্যমন্ত্রী করেন। রাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে সুস্পষ্ট চিন্তাভাবনা এখনও পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।”

আরও পড়ুন- কলকাতা সহ রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, কোভিডের বলি ১৪, কমল সুস্থতার হারও

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বেশি দিন চলবে না বলে মনে করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন দুয়ারে রেশন (Duare Ration) প্রকল্প নিয়ে ডিলাররা বলে দিয়েছেন এভাবে প্রকল্প চলতে পারে না। কারণ এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ নেই। বাড়িতে গিয়ে রেশন পৌঁছে দিতে গেলে কর্মী লাগবে, তেল লাগবে। কিন্তু বাজেটে তা বরাদ্দ করা হয়নি। এসবই চমক। আর এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কতদিন চলবে না পরে প্যাঁচার ভাণ্ডার হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”

আরও পড়্ন- বিয়ের পর থেকে লেগেই ছিল অশান্তি, ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে আত্মসমর্পণ যুবতীর

রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “সরকারের অবস্থা এখন লক্ষ্মী ছাড়া। পাঁচশো টাকার জন্য মা বোনেদের রাস্তায় নামিয়ে আনলেন। ত্রিপুরা, গোয়া তো অনেক দূর। আগে পশ্চিমবঙ্গের লোককে বাঁচিয়ে রাখুন। ত্রিপুরার লোকের মাথা খারাপ হয়নি যে তৃণমূলের মতো একটি পাগল, সন্ত্রাসী দলকে ক্ষমতায় আনবে।”

Share this article
click me!