সংক্ষিপ্ত
জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। বাড়িতে স্ত্রী, বাবা ও মা রয়েছেন। মাস দুয়েক আগেই ওই যুবতীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
মদ খেতে নিষেধ করায় অশান্তি (Trouble)। এছাড়া লেগেই ছিল পারিবারিক বিবাদ। এই সব অশান্তির জেরেই ঘুমন্ত (Sleeping) স্বামীর (Husband) পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল যুবতীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই যুবতী এবং তাঁর বাবাকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ (Kumarganj Police Station)। আদালতে তোলা হলে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবক বর্তমানে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (North Bengal Medical College) চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। বাড়িতে স্ত্রী, বাবা ও মা রয়েছেন। মাস দুয়েক আগেই ওই যুবতীকে ভালোবেসে বিয়ে (Marriage) করেছিলেন তিনি। এদিকে বিয়ের পর থেকে বিবাদ লেগেই থাকত স্ত্রীর সঙ্গে। ১৮ অক্টোবর রাতে পারিবারিক বিবাদ শুরু হয় তাঁদের মধ্যে। অভিযোগ, ওই দিন রাতেই ঘুমানোর সময় দা দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেন যুবতী। সঙ্গে সঙ্গে রক্তে (Blood) ভরে যায় বিছানা থেকে মাটির দেওয়াল।
আরও পড়ুন- অনন্য নজির, মমতার পাঠানো বিজয়ার মিষ্টি বিতরণ কংগ্রেসের গড়ে
আরও পড়ুন- মিলছে না বিশুদ্ধ পানীয় জল, দিন যাপনে ভরসা পুকুরের ঘোলা জল, বিক্ষোভ স্থানীয়দের
এদিকে যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করেন ওই যুবক। তাঁর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে আসেন প্রতিবেশীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে প্রথমে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওইদিন রাতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর কুমারগঞ্জ থানায় জখম যুবকের বাবা পুত্রবধূ ও ছেলের শ্বশুর এবং শাশুড়ির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিনই যুবকের শ্বশুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বুধবার বালুরঘাট থানায় আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত যুবতী। তখনই পুলিশের তরফে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় ব্যবহৃত দা যুবতীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। কী কারণে ওই যুবতী এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন তার তদন্তে নেমেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- রাজ্যে উপনির্বাচনে আরও বাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা, বেড়ে হল ৯২ কোম্পানি
এবিষয়ে জখম যুবকের বাবা বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ছেলেকে চিকিৎসার জন্য সকলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে ছেলের সঙ্গে পুত্রবধূ ঝামেলা করত। তারপরই পুত্রবধূ এই কাজ করেছে। যাঁরা তাঁর ছেলের এত বড় ক্ষতি করেছে তাঁদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কুমারগঞ্জ থানার আইসি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।