মোমিনপুরে বাইক-দোকানে ভাঙচুর প্রসঙ্গে টুইট সুকান্তের, সমর্থন করে পালটা টুইট শুভেন্দুর

Published : Oct 10, 2022, 12:57 AM IST
মোমিনপুরে বাইক-দোকানে ভাঙচুর প্রসঙ্গে টুইট সুকান্তের, সমর্থন করে পালটা টুইট শুভেন্দুর

সংক্ষিপ্ত

সুকান্তর টুইটকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু বলেন কিছু মানুষ কখনও বদলান না। উত্তরপ্রদেশের মত তাঁদেরও সময় আসবে। শুভেন্দু বলেন লোহার চেন ততক্ষণ পর্যন্ত হালকা লাগে, যতক্ষণ না তার ভার বোঝা যাচ্ছে। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে আসার পথে কোলাঘাটে কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুকান্ত মজুমদার।

রবিবার কাঁথির শান্তি কুঞ্জে অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত মজুমদার। সৌজন্য সাক্ষাতের পালা পেরিয়ে উঠে এল অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাও। এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুরে দোকান ও বাইক ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে একটি টুইট করেন। সেই ভিডিওতে বেশ কয়েকটি বাইককে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি সেখানে অন্য গাড়ি ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। এলাকার ইটের টুকরোর পাশাপাশি কাঁচের গুড়োও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে নিশানা করেন সুকান্ত মজুমদার।

সুকান্তর টুইটকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু বলেন কিছু মানুষ কখনও বদলান না। উত্তরপ্রদেশের মত তাঁদেরও সময় আসবে। শুভেন্দু বলেন লোহার চেন ততক্ষণ পর্যন্ত হালকা লাগে, যতক্ষণ না তার ভার বোঝা যাচ্ছে। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে আসার পথে কোলাঘাটে কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, গরু পাচার কাণ্ডের চার্জশিটে   হাওয়ালা যোগ, হাওয়ালার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা একাধিক নেতা মন্ত্রীদের কাছে পৌঁছে যেত। এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন শুধু হাওয়ালা নয়, তদন্ত হলে জঙ্গি গোষ্ঠীদের সাথে এদের লিঙ্ক পাওয়া যাবে, কারণ এরা প্রত্যেকেই চক্রান্ত করছে পশ্চিমবঙ্গকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বানানোর। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন চক্রান্ত করে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থনৈতিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে এই সরকারের তরফে। নিজেদের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়িয়ে আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল হচ্ছে এখানকার তৃণমূল নেতারা। 

শান্তিকুঞ্জ থেকে বেরিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘‘আমি এখানে বিজয়ার প্রণাম করতে এসেছিলাম। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হলে আমরা বয়োজ্যেষ্ঠদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি। এটাই আমাদের রীতি। পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতিতে প্রবীণ ও অভিজ্ঞ যে ক’জন রাজনীতিক বেঁচে আছেন, তাঁদের একজন শিশিরবাবু। তাই তাঁর মতো মানুষকে সম্মান জানাতে এসেছিলাম।’’ আপনি কী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও বিজয়া করতে যাবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘আমি আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও এই শুভেচ্ছা জানাতে যেতে পারতাম। কিন্তু তাঁর হাতে আমাদের কর্মীদের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। তাই আমি যাব না।’’

প্রসঙ্গত, শিশির এখনও তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত সাংসদ। কিন্তু ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলে দলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ প্রায় ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে এগরায় বিজেপির জনসভায় অমিত শাহের সঙ্গে এক মঞ্চে হাজির থাকার কারণে শিশিরের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Dilip Ghosh: বাংলায় ‘বাবরি মসজিদ’! বিজেপির দিলীপ হুমায়ুনকে দিলেন চরম উপদেশ
১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন হুমায়ুন কবীর, জানিয়ে দিলেন 'কেন' তিনি বিধায়ক পদ ছাড়বেন না