শ্যালিকার মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক, এরপর নিজের মেয়ের সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার লোভেই কি খুন হয়েছিলেন হাওড়ার রেলকর্মী?

জে. শেখরের বোনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছিল সুরেশ। সেই ঘনিষ্ঠতার জেরে তার বোন অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন। মৃত সুরেশ আরও বহু বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Web Desk - ANB | Published : Oct 9, 2022 11:03 AM IST / Updated: Oct 09 2022, 05:10 PM IST

হাওড়ায় রেলকর্মী সুরেশ সাউয়ের মাথা কেটে খুনের ঘটনায় একের পর এক রহস্যের জট খোলসা। পুলিশি জেরায় ধৃতদের বয়ানে বেরিয়ে আসছে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, নিহত রেলকর্মী সুরেশ নিজের মেয়ের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চেয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রের দাবি, প্রশ্নের মুখে পড়ে এ কথা স্বীকার করেছেন সুরেশের স্ত্রী রাজেশ্বরী সাউ। সুরেশকে খুনের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত রাজেশ্বরী সহ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

৫ সেপ্টেম্বর, দশমীর দিন হাওড়ার ডোমজুড় থেকে সুরেশের বস্তাবন্দি মুণ্ডুকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার, তাঁর কাটা মাথা উদ্ধার হয়েছে সলপ থেকে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, সুরেশ রাজেশ্বরীর দ্বিতীয় স্বামী। রাজেশ্বরী ছিলেন বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা। সুরেশ আর রাজেশ্বরীর কন্যা সন্তানের বয়স বর্তমানে এগারো বছর। পুলিশ জানিয়েছে, রাজেশ্বরী পুলিশি জেরায় কবুল করেছেন, তাঁর স্বামী নিজের মেয়ের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সেই ঘটনাতেই স্বামী ও স্ত্রীর বিবাদ চরমে ওঠে। রাজেশ্বরী জানিয়েছেন, বাবার কবল থেকে মেয়েকে বাঁচাতেই মেয়েকে নিয়ে প্রায় তিন মাস আগে তিনি বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। এরপর মেয়ের সম্মান রক্ষা করতেই তিনি স্বামীকে খুনের ছক কষেন বলে জেরাপর্বে জানিয়েছেন রাজেশ্বরী। শুধু নিজের ঘরেই নয়, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মৃত সুরেশ আরও বহু বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তা নিয়েও রাজেশ্বরীর মনে ক্ষোভ ছিল।

রাজেশ্বরী ছাড়াও, সুরেশের শ্যালিকার ছেলে জে শেখর এবং স্বপন সাঁতরা ওরফে মিঠুন নামে একটি গ্যারাজের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় ধৃতদের দাবি, সুরেশের নিজের একটি দূরপাল্লার বাস আছে। সেটার দেখভাল করতেন মিঠুন। সুরেশের একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের খোঁজ পেতে পেতে নিজের সম্পর্ক নিয়ে একেবারে হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী রাজেশ্বরী। তাঁরা দু’জনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। এই সময়ে রাজেশ্বরীর সঙ্গে গ্যারাজ মালিক মিঠুনের একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, সুরেশের বাসটির মালিকানা পেতেই তাঁকে খুনের ছক কষেছিলেন মিঠুন। ধৃতদের এও দাবি, জে. শেখরের বোনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছিল সুরেশ। সেই ঘনিষ্ঠতার জেরে শেখরের বোন অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন। সেই রাগ এবং প্রতিহিংসা থেকে সুরেশকে খুনের পরিকল্পনায় শেখরও যোগ দিয়েছিলেন বলে পুলিশের ধারণা। ধৃতরা প্রত্যেকে সত্যি বলছেন কিনা, তা আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ এবং খোঁজখবরের মাধ্যমে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন-
অয়নের ত্রিকোণ প্রেম, নাকি প্রীতির সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়া, কোন কারণে তাকে সরিয়ে দিতে চাইল প্রীতির পরিবার?
মা-মেয়ের সঙ্গে ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই কি হরিদেবপুরের অয়ন মণ্ডলকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা বান্ধবীর বাবার?
ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মী সংগঠনের ডাক, সাড়া দিল না কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন

Share this article
click me!