মোমিনপুরে ভাঙচুর-বোমাবাজি-অশান্তি, মোদীকে চিঠি লিখে তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা স্বপন দাশগুপ্তর

 ধর্মীয় সম্প্রদায়ের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত কলকাতার মোমিনপুর। লক্ষ্মীপুজোর আগের রাত থেকে দুই ধর্মের মানুষের বিরোধিতা এমন চরমে ওঠে, যে গোটা এলাকা জুড়ে প্রায় বনধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেও আঙুল তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল, বিজেপি। 

Web Desk - ANB | Published : Oct 10, 2022 9:35 AM IST / Updated: Oct 10 2022, 03:43 PM IST

রবিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুরে দোকান ও বাইক ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে একটি টুইট করেন। সেই ভিডিওতে বেশ কয়েকটি বাইককে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি সেখানে অন্য গাড়ি ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। এলাকার ইটের টুকরোর পাশাপাশি কাঁচের গুড়োও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত কলকাতার মোমিনপুর। লক্ষ্মীপুজোর আগের রাত থেকে দুই ধর্মের মানুষের বিরোধিতা এমন চরমে ওঠে, যে গোটা এলাকা জুড়ে প্রায় বনধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেও আঙুল তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল, বিজেপি। 

এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি ইমেল করেন রাজ্যসভায় বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। কলকাতার মোমিনপুরের ঘটমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মোদীকে অবহিত করেন তিনি। স্বপন দাশগুপ্ত বলেন "আমি রবিবার সন্ধ্যায় হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর বিনা প্ররোচনায় হামলার বিষয়টি আপনার নজরে আনতে চাই। ২০২২য়ের নয়ই অক্টোবর কলকাতার মোমিনপুর একবালপুর এলাকায় হিন্দুদের সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনা ঘটে। সারা রাজ্যে তখন ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজো পালিত হচ্ছিল। ধ্বংসযজ্ঞ ও ভিড়ের তাণ্ডবের ভিডিও থেকে বোঝা যায়, দুর্বৃত্তরা অবাধে দৌড়াচ্ছে এবং
পুলিশকে কোথাও দেখা যায়নি। একবালপুর থানা দখলের ঘটনা তারই ইঙ্গিত। 

স্বপন দাশগুপ্ত মোদীকে লেখা চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই মুসলিমদের সমর্থনে পুলিশ দাঁড়িয়েছে। মোমিনপুর ও একবালপুর এলাকার হিন্দুরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। স্বপন দাশগুপ্তের দাবি দুর্বল হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ কলকাতা এবং রাজ্যের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতীতে, বিশেষ করে ২০১৯ সালে সিএএ-বিরোধী হিংসার সময় এবং পরবর্তীকালে, দেখা গিয়েছে কীভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হয়েছিল। সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়েছিল। এতে প্রচ্ছন্ন সম্মতি ছিল রাজ্য প্রশাসনের বলে দাবি রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদের। 

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত।

এর আগে রবিবার এই নিয়ে টুইট করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি মোমিনপুরের একটি ভিডিও শেয়ার করেন। এরপরেই সেই টুইটকে হাতিয়ার করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করেন। 

আরও পড়ুন-
ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মী সংগঠনের ডাক, সাড়া দিল না কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন
অয়নের ত্রিকোণ প্রেম, নাকি প্রীতির সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়া, কোন কারণে তাকে সরিয়ে দিতে চাইল প্রীতির পরিবার?
শ্যালিকার মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক, এরপর নিজের মেয়ের সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার লোভেই কি খুন হয়েছিলেন হাওড়ার রেলকর্মী?

Read more Articles on
Share this article
click me!