কোথাও মিষ্টি বিতরণ হল, আবার কোথাও লজেন্স খাইয়েই মিষ্টি মুখ করানো হল পথচলতি মানুষকে। তেলেঙ্গানায় এনকাউন্টারে হায়দরাবাদ গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় চার অভিযুক্তের মৃত্যুর ঘটনায় এভাবেই সমর্থন জানালেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা।
হায়দরাবাদে গণধর্ষণ এবং খুনের নৃশংস ঘটনা ঘটবার পর থেকেই এ রাজ্যের অনেক বাসিন্দাই শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছেন। কেউ কেউ ধর্নাতেও বসেছিলেন। যেমন বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ধর্নায় বসেছিলেন বেশ কয়েকজন যুবত- যুবতী। এ সকালে ধর্ণায় বসার জন্য প্রস্তুতি নিতে নিতেই হায়দরাবাদে এনকাউন্টারের খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়েন ধর্নায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকেই। দ্রুত লজেন্স এনে তা পথচলতি মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ধন্যবাদ জানানো হয় তেলেঙ্গানা পুলিশকে।
আরও পড়ুন- পাঁচ মিনিটেই হল ন্যায় বিচার, জেনে নিন এনকাউন্টার-এর বিশদ বিবরণ
আরও পড়ুন- চরম পরিণতি হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযুক্তদের, পুলিশি এনকাউন্টারে নিহত ৪
একই ছবি দেখাল গিযেছে বাঁকু়ড়াতেও। এ দিন বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের সামনে ছাত্রছাত্রীরা তেলেঙ্গানা পুলিশের নামে জয়ধ্বনি দিতে দিতে মিষ্টি মুখ করান সবাইকে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রামপুরেও স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং পথচারীদের ডেকে মিষ্টিমুখ করান স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে তেলেঙ্গানা পুলিশের সমর্থনে স্লোগানও দেওয়া হয়। মিছিলে ছিল জাতীয় পতাকাও। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক অভিজিৎ চৌধরী বলেন, 'নির্যাতিতার আত্মা শান্তি পেল। পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে। এ ধরনের জঘন্য ঘটনায় এমনই শাস্তি হওয়া উচিত। এই ঘটনার পর অপরাধীরাও কারও উপরে নির্যাতন চালানোর আগে দু' বার ভাববে।'