ছত্রিশগড়ে নিহত নদীয়ার নাকাশিপাড়া থানার বিল কুমারীগ্রামের মাসুদুল রহমানের পরিবারের দাবি, সে আত্মঘাতী হয়নি। তাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে।মাসুদুলের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ দাবি করে মৃতের পরিবার।
নদীয়ার নাকাশিপাড়া থানার বিল কুমারী গ্রামের বাসিন্দা মাসুদুল রহমান ২০০৮ সালে আইটিবিটি- তে যোগ দেন। বর্তমানে ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার বস্তারে কর্মরত ছিলেন তিনি। অভিযোগ,দীর্ঘ এক বছর কোনও ছুটি না মেলায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মাসুদুল। বার বার বাড়ির লোকের কাছে সেই আক্ষেপ করেছেন।
অভিযোগ,বুধবার ছুটি নিয়ে তার সহকর্মীর সাথে বচসা হয়,তারপরই সহকর্মীদের গুলি করে নিজেও আত্মঘাতী হন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর,১০ দিন আগে ফোনে মায়ের সাথে কথা হয়েছিল মাসুদুলের। সেই সময় পরিবারের তরফে বিয়ের জন্য তাঁকে বাড়ি আসার কথা জানিয়েছিল মা। কিন্তু আবেদন জানিয়েও ছুটি পাচ্ছে না বলে বাড়িতে জানিয়েছিল মাসুদুল। আর তারপরই বুধবার বাড়িতে তাঁর মৃত্যুসংবাদ পৌঁছয়। তবে সে কেন আরও ৫জনকে হত্যা করল, সেই বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি পরিবার। ঘটনায় গোটা গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এদিন বাড়িতে মাসুদুলের দেহ আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই। সম্প্রতি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকে ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার বস্তার। কোনও জঙ্গি হামলা নয়, নিজের ৫ সহকর্মীকেই গুলি করে মারেন আইটিবিপি-র ৪৫ নম্বর ব্যাটালিয়ন-এর জওয়ান। তবে সহকর্মীদের মেরে নিজে পালিয়ে যাননি তিনি। কাজ শেষ হতেই মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনিও। সেই মৃত্যু ঘিরেই উঠেছে নানা প্রশ্ন। অবসাদ থেকেই গুলি চালনা না ঘটনার পিছনে অন্যকিছু তা জানতে চেয়েছে পরিবার।