বাম এবং কংগ্রেস ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা চব্বিশ ঘণ্টার বনধে সকাল থেকেই উত্তপ্ত বারাসত। এ দিন সকালে বারাসত এবং হৃদয়পুরে দু' জায়গায় রেল লাইনের উপর থেকে বোমা উদ্ধার হয়। এর পাশাপাশি জায়গায় জায়গায় রেল ও সড়ক অবরোধ করা হয় বারাসত এবং সংলগ্ন এলাকায়। বেশ কয়েকবার পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বনধ সমর্থনকারীরা।
এ দিন সকালে প্রথমে হৃদয়পুর স্টেশনে একটি ট্রেনের নীচে রেল লাইনেপ উপরে ব্যাগের ভিতরে তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় জিআরপি। এক জিআরপি কর্মী ঝুঁকি নিয়েই বোমাগুলিকে জলে ফেলে নিষ্ক্রিয় করেন।
আরও পড়ুন- দেখা নেই বেসরকারি বাস- ট্যাক্সির, বনধের মোকাবিলায় শাসক দলের ভূমিকায় ধোঁয়াশা
আরও পড়ুন- বাম- কংগ্রেসের ডাকে ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট, জেলায়-জেলায় রেল ও বাস অবরোধ
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বারাসতে কারশেডের কাছে রেল লাইনের উপরে একটি কৌটো বোমা উদ্ধার হয়। রেল পুলিশ গিয়ে সেই বোমাটিও নিষ্ক্রিয় করে। এর পাশাপাশি বারাসতের হ্যালা বটতলা মোড় থেকেও উদ্ধার হয় কৌটো বোমা।
এ দিন সকাল থেকেই বনধের সমর্থনে বারাসতে মিছিল বের হয়। সকাল থেকেই অধিকাংশ দোকান, বাজার বন্ধ ছিল। হাতেগোনা যে কয়েকটি দোকান খোলা ছিল, সেগুলিও বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। অটো থেকে জোর করে যাত্রীদের নামানোর চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে বনধ সমর্থনকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে দু' পক্ষের মধ্যে বচসাও বেঁধে যায়। পরে বারাসতের চাঁপাডালি মোড়েও অবরোধ করা হয়। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটীদের ধস্তাধস্তি বাধে। উত্তর চব্বিশ পরগণার মধ্যমগ্রামেও রেল অবরোধকে ঘিরে ধর্মঘটীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।