সংক্ষিপ্ত

  • বাম-কংগ্রেসের ডাকে ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট
  • জেলায় জেলায় রেল অবরোধ ধর্মঘট সমর্থকদের
  • অবরোধের জেরে আটকে বহু ট্রেন
  • গাড়ির চাকা খুলে চলে পথ অবরোধ

অর্থনীতিতে মন্দা চলছে, কর্মসংস্থানের বেহাল দশা। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি। এর প্রতিবাদে সেই সঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির (এনপিআর) বিরোধিতায় বুধবার দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি।

আরও পড়ুন : দেশজুড়ে মিশ্র প্রভাব, স্বাভাবিক থাকল বাণিজ্যনগরী, ধর্মঘটীদের ট্যুইট করে সেলাম রাহুলের

ধর্মঘটের সকাল থেকে জেলায় জেলায় ট্রেন ও বাস অবরোধ করতে নেমে পড়ে বাম- কংগ্রেসকতাদের র্মীরা। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বাস চালকরা হেলমেট পরে বেরোলে তাদের ঘিরে ধরে ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। নেতাজি পাড়ার এনবিএসটিসির বাস ডিপোতে পুলিশ ও বাস চালকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় ধর্মঘট সমর্থকদের।

আরও পড়ুন : তেহেরান- ওয়াশিংটন উত্তেজনার মাঝেই কেঁপে উঠল ইরান, কম্পন অনুভূত হল পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছে

এদিন উত্তর চব্বিশ পরগনার একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ করে সিপিএম সমর্থকরা। ন্যুনতম বেতন ও পেনশনের দাবিতে শ্যামনগরের ২৪ নম্বর রেলগেটের সামনে প্রায় ১৫ মিনিট অবরোধ করে রাখে সিপিএম কর্মীরা। বারাকপুরের ঘোষপাড়া রোডের উপর শ্যামনগর পোস্ট অফিস মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে কংগ্রেস ও সিপিএম সমর্থকরা। কাঁচরাপাড়া স্টেশনেও এদিন সকাল থেকে চলে রেল অবরোধ। 

উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রামে ধর্মঘট সমর্থকরা গাড়ির ও ট্রাকের  চাকার হাওয়া খুলে দেওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা বনধ বিরোধী মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তৃণমূল ও বামেদের মিছিল -পাল্টা মিছিলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধ্যমগ্রাম স্টেশন রোড। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে আসতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে।

 

 

এদিকে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার হৃদয়পুর স্টেশন চত্বরে রেললাইন থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বোমা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে। বোমা পড়ে থাকার কারণে সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচল। বসিরহাটের ভ্যাবলা স্টেশনে বাম-কংগ্রেসর অবরোধের জেরে দাঁড়িয়ে পড়ে ডাউন শিয়ালদহ লোকাল। 

হাবরাতে এদিন রেল অবরোধ করে এসইউসিআই সমর্থকরা। পরে যশোর রোডও অবরোধ করা হয়। দফায় দফায় অবরোধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। দমদম রেল স্টেশনে বুকিং কাউন্টার বন্ধ করে দেয় সিপিএম সমর্থকরা। 

 

 

ধর্মঘটের সমর্থনে বর্ধমানের পার্ক শহরে মিছিল করে বাম সমর্থকরা। টোটে থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের। বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকান-বাজারও। নদিয়ার নবদ্বীপ ও মায়াপুরেও বন্ধ ছিল বাস চলাচল। 

বাঁকুড়া জেলাতেও ধর্মঘটের জেরে বেসরকারি বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। সরকারি বাস চললেও যাত্রীর সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। এদিন উত্তর দিনাজপুরে তেমন ভাবে বনধের প্রভাব না পড়লেও হেলমেট পরে বাস চালাতে দেখা যায় সরকারি বাস চালকদের। রায়গঞ্চ থেকে শিলিগুড়িগামী একটি বেসরকারি বাসে ঢিল মেরে কাচ ভেঙে দেয় বনধ সমর্থকরা। তবে বনধের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি জলপাইগুড়ির চা বাগানগুলিতে।