মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা।যদিও সাদ্দামের স্ত্রী তারাবাণুর দাবি, 'ওদের অভিযোগ মিথ্যা।'
মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। জগদ্দল থানার পূর্বাশা পাড়ার ঘটনা। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সাদ্দাম। অভিযুক্ত পূর্বাশা পাড়ায় ভাড়া থাকে। তবে ধৃতের স্ত্রীর কথায়, হামলা কারণ অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছে। তবে সত্যিই কী কারণে আসাহার হোসেনের উপর হামলা চালিয়েছিল ধৃত সাদ্দাম, তা পুলিশি জেরাতেই উঠে আসবে। তবে প্রশ্ন উঠেছে নিছকই মোবাইল চোরের কাছে কোথা থেকেইবা এল আগ্নেয়াস্ত্র। আর কেনইবা সেটা দিয়ে আঘাত করতে গেল সে। পুরোনো কোনও ব্যক্তিগত ইস্যু রয়েছে কিনা, সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসাহার হোসেন বুধবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সাদ্দাম ও তার দুই সঙ্গী পথ আটকে আসাহারের মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ছিনতাইয়ের বাধা দিলে আসাহার হোসেনের মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করে সাদ্দাম। এমনকি আসাহারের ভাইপো আফজাল ছুটে এলে ওরা তাঁর হাতে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে আসাহারের এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় সাদ্দাম। স্থানীয়রা সাদ্দামকে পাকড়াও করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যদিও সাদ্দামের স্ত্রী তারাবাণুর দাবি, 'ওদের অভিযোগ মিথ্যা। দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু ওরা স্বামীকে চুরির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।'
আরও পড়ুন, ৬ বছর পর স্কুল শিক্ষক পদে নিয়োগ, শীঘ্রই প্রকাশিত হবে বিজ্ঞপ্তি, জানাল কমিশন
তবে সাদ্দামের স্ত্রী তারাবাণুর দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেবে। আর যদি তা নয়, আরও অনেকগুলি প্রশ্ন উঠে আসবে। সেক্ষেত্রে ধৃত সাদ্দামকে জেরা করে এই চুরির আরও বড় কোনও মাথারও হদিস পাওয়া যেতে পারে বলে অনুমান। তবে এরকম চুরির ক্ষেত্রে সাধারণত পিস্তল থাকে না। ছিচকে চোর হলে কি করেই বা একটা আস্ত বন্দুক নিয়ে সাদ্দাম ঘোরাফেরা করছি, কেইবা তাঁকে এই বন্দুক এনে দিল, এহেন নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। তাই এই জটিলতার প্যাচ খুলতে পারে কেবল পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে যে আগের থেকে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বলেই দাবি রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলদের। সেটা রাজনৈতিক খুন হোক, কিংবা অন্য কোনও ইস্যু নিয়ে খুন। প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। রাজ্যে পার্কসার্কাসেও একটি ভয়াবহ অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। যা শুনে অনেকেই শিউরে উঠেছেন। ফোন করে কোনও এক পরিচিক ডেকে নিয়ে গিয়েছেন এক যুবককে। পরে তাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তাই ধৃত সাদ্দামের স্ত্রী তারাবাণুর অভিযোগ যদি সত্যি হয়, এবার পরিচিত মানুষদের নিয়ে মনে প্রশ্ন উঠবে, আতঙ্ক ছড়াবে সারা বাংলায়।