জামাইষষ্ঠীতে ভিড় নেই মিষ্টির দোকানে, বসে বসে মাছি তাড়ালেন দোকানিরা

Published : May 29, 2020, 10:58 PM IST
জামাইষষ্ঠীতে ভিড় নেই মিষ্টির দোকানে, বসে বসে মাছি তাড়ালেন দোকানিরা

সংক্ষিপ্ত

একে সামাজিক দূরত্বের বিধি, লকডাউন আর তার ওপর বুধবারের কালবৈশাখী ঝড় তাই বিক্রি কম হবে জেনে এমনিতেই কম মিষ্টি তৈরি করেছিলেন দোকানিরা তবুও সেই মিষ্টিটুকুও কিনতে খরিদ্দার আসেনি দোকানে সবমিলিয়ে এবার জামাইষষ্ঠীতে বিক্রিবাট্টা একেবারেই কম ছিলো মিষ্টির দোকান

একে লকডাউন, তার ওপর আবার দুর্যোগের আবহাওয়া। সবমিলিয়ে কার্যত মাঠে মারা গিয়েছে জামাইষষ্ঠী। হালুইকরদের তৈরি কার ইয়াব্বড়া সন্দেশ, যার ওপর বড় করে লেখা থাকে জামাইষষ্ঠী, কই, তারও তো তেমন বিক্রি নেই দোকানে । জলঝড়ের মধ্য়ে দোকানের ভেতর বসে বলতে গেলে সারাদিন মাছি তাড়়িয়েছেন মিষ্টির ব্য়বসায়ীরা। বিক্রি যে একেবারেই হয়নি, তা নয়, তবে তা বলার মতো নয়। অন্য়বার জ্য়ৈষ্ঠ মাসের যে কোনও রবিবারে যা বিক্রিবাট্টা হয় মিষ্টির দোকানে, এবার সেটুকুও হয়নি জামাইষষ্ঠীর দিন। তাই, সবমিলিয়ে রীতিমতো হতাশ মিষ্টির ব্য়বসায়ীরা।

মার্চের মাঝামাঝি থেকেই করোনা সংক্রমণের ভয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যাতায়াত বন্ধ হয়েছে। আর ওই মাসেরই ২৪ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। মাস দেড়েক পরে এই লকডাউন কিছুটা শিথিল হতে-না-হতেই ধেয়ে এসেছে আমফানের বিপর্যয়। আর তার ঠিক সাতদিনের মাথায় প্রবল কালবৈশাখী। আর সবকিছুর জেরে জামাইষষ্ঠীতে ভাঁটার টান।

এমনিতেই  সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে এবার একপ্রকার নমো-নমো করেই সারা হয়েছে জামাইষষ্ঠী। কিন্তু এর ওপর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অনুঘটকের কাজ করেছে। তাই অন্য়ান্য়বার যেখানে জামাইষষ্ঠীর দিন সকাল থেকে মিষ্টির দোকানে ভিড় উপচে পড়তো, এবার তা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। বরং বেশিরভাগ দোকানদারেরই মুখ ভার। মিষ্টির ব্য়বসায়ী তপন জানার কথায়— এমনিতেই এবার মিষ্টি কম তৈরি করেছিলাম।  কিন্তু তাই বলে ওইটুকু মিষ্টিও যে বিক্রি হবে না তা ভাবতে পারিনি। দুমাস ধরে বিক্রিবাট্টা প্রায় কিছুই নেই বলতে গেলে। এই ধরনের অনুষ্ঠানের দিনও যদি বিক্রির এই দশা হয় তো এবার দোকানে তো দোকানে ঝাঁপ ফেলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই দেখছি।

কমবেশি সব মিষ্টি ব্য়বসায়ীরাই একই কথা বলছেন। সকাল থেকে আকাশের দিকে চেয়ে বসে রয়েছেন সঞ্জয় মাইতি। দোকানে কোনও ক্রেতা নেই। বাইরে অঝোরে ঝরে পড়ছে বৃষ্টি। ভাবছেন, কখন একটু জলঝড় কমবে। আকাশের দিকে তাকিয়েই আনমনে বললেন—বাজারের অবস্থা খুব খারাপ।  দোকানের দিকে পা মাড়াচ্ছেন না কেউ। কোনও খরিদ্দার নেই। কী করে ব্য়বসা চালাবো বুঝতে পারছি না।

সব মিলিয়ে, এবার জামাইষষ্ঠীতে মিষ্টির ব্য়বসা ভীষণভাবে মার খেয়েছে।  ব্য়বসায়ীরা অনেকেই কম করে মিষ্টি বানিয়েছিলেন। কিন্তু ওইটুকু মিষ্টিও যে দোকানে পড়ে থাকবে আর তা কার্যত মাছিতে খেয়ে সাবার করে দেবে, তা বোধহয় কেউ স্বপ্নেই ভাবেননি।

PREV
click me!

Recommended Stories

১ বছর পরে ২ দিনের সফরে কোচবিহার যাচ্ছেন মমতা, রইল সোম ও মঙ্গলের ঠাসা কর্মসূচি
Dilip Ghosh: বাংলায় ‘বাবরি মসজিদ’! বিজেপির দিলীপ হুমায়ুনকে দিলেন চরম উপদেশ