সঞ্জীবকুমার দূবে, পূর্ব মেদিনীপুর: বাবার শেষকাজে আড়ম্বর নয়, বরং সেই টাকায় ঘুর্ণিঝড় আমফানে গৃহহীনদের বাড়ি মেরামতি জন্য আর্থিক সাহায্য করলেন এক শিক্ষক। দিলেন খাদ্যসামগ্রীও। মানবিকতার নজির পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে।
কথায় বলে বিপদ কখনও এক আসে না। বাস্তবে তেমনটাই ঘটেছে এ রাজ্যে। করোনা সতর্কতায় লকডাউনে যখন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে চরমে, ঠিক তখনই আছড়ে পড়ল ঘুর্ণিঝড় আমফান। প্রকৃতির রোষানলে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। ঝড়ের দাপটে খাস কলকাতায় উপচে গিয়েছে বহু গাছ। ঘটনার পর প্রায় সপ্তাহ ঘুরে গেলেও এখন বিদ্যুৎ নেই শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায়। স্বাভাবিক হয়নি ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবাও।
আরও পড়ুন: অসম গেলে ফিরবেন কি করে, আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ পরিযায়ী শ্রমিকের
জানা গিয়েছে, কাঁথি ৩ নম্বর ব্লকের নাচিন্দা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন রতন পাত্র। স্থানীয় একটি হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘদিন। এলাকায় শিক্ষক ও প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে খ্যাতি ছিল তাঁর। গত বছরের ৩১ মে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন রতন এবং শেষপর্যন্ত মারাও যান। শুক্রবার ছিল তাঁর বাৎসরিক কাজ। ছেলে মানিকবরণও পেশায় শিক্ষক। করোনা সতর্কতায় এখন জমায়েত করার তো প্রশ্নই নেই। তারমধ্যেই নিয়মাফিক বাবার শ্রদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন মানিক। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানের জন্য যা খরচ হত, তার থেকে দ্বিগুণ টাকা খরচ করে আমফানে গৃহহীন দুশোরটিরও বেশি পরিবারকে পাশে দাঁড়ালেন ওই শিক্ষক। বিলি করলেন ত্রাণও। মানিকবরণ পাত্র জানিয়েছেন, 'তাঁর বাবা এলাকায় প্রকৃতিপ্রেমী ও সমাজসেবী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। বরাবরই বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত থাকতেন। বাবার দেখানোর পথই অনুসরণ করলেন তিনি।'