এলাকায় কি বাঘ ঢুকেছে? লকডাউনের মাঝেই হুলস্থুলকাণ্ড রায়গঞ্জে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে মশাল হাতে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বনদপ্তর।\
আরও পড়ুন: যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে 'খুন', পরকীয়ার বলি আউশগ্রামের যুবক
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। রায়গঞ্জের ৯ নম্বর গৌরিপুর পঞ্চায়েতের ক্যানেল কলোনি এলাকার ভুট্টাক্ষেতে বাঘ দেখতে পাওয়া যায়! অন্তত তেমনই দাবি স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় শ্যামপুর-হাটখোলা এলাকায়। বনদপ্তরের ভরসা না থেকে স্থানীয় বাসিন্দারাই মশাল নিয়ে 'বাঘ তাড়া'তে বেরিয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাড়া খেয়ে বাঘটি প্রথমে একটি বাঁশঝাড়ে আশ্রয় নেয় এবং শেষপর্যন্ত এ্যালেঙ্গা গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি কি সত্যি? বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, রাতের বেলা যে শুধু বাঘেরই চোখ জ্বলজ্বল করে, তা কিন্তু নয়। চোখ জ্বলজ্বল করে বাঘরোল ও বনবিড়াল জাতীয় প্রাণীরও। তাই ভুট্টাক্ষেতে যে প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, সেই প্রাণীটি বাঘ নাও হতে পারে। বনদপ্তরের রায়গঞ্জ রেঞ্জের আধিকারিক সোমনাথ সরকার জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক পদে অশোক ভট্টাচার্য,কিছু জানি না বললেন মেয়র
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ায় শিলিগুলি লাগোয়া ফাঁসিদেওয়া এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে হাঁস, মুরগি ও ছাগল উধাও হয়ে যাচ্ছিল। প্রথম বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি কেউ। শেষপর্যন্ত স্থানীয় হাঁসখোয়া চা-বাগান লাগোয়া এলাকায় একটি চিতাবাঘকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়! শুধু তাই নয়, বাঘটি নাকি বন্ধ চা বাগানে প্রসবও করেছে। খবর পেয়ে বনদপ্তরের আধিকারিকরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন, ততক্ষণে বাঘটি গা-ঢাকা দেয় বলে জানা গিয়েছে।