সংক্ষিপ্ত
- পরকীয়া সম্পর্কে নির্মম পরিণতি
- নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন যুবক
- যৌনতার প্রলোভনে 'কাজ হাসিল'
- গ্রেফতার মৃতের স্ত্রী ও প্রেমিক
যৌনতার টোপেই 'কাজ হাসিল' করেছে স্ত্রী ও তার প্রেমিক! বর্ধমান আউশগ্রামে যুবক খুনের তদন্তে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুর্ননির্মাণ করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: 'চিকিৎসায় গাফিলতি'তে মা ও শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভাঙচুর পরিজনদের
মৃতের নাম মধুসূদন বাউড়ি। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আউশগ্রামের জামতারা গ্রামে থাকতেন বছর তিরিশের ওই যুবক। লটারি বিক্রি করে যা রোজগার করতেন, তাই দিয়েই সংসার চলত। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির কাছে তাঁর নলিকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মৃতের স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক মঙ্গল বাউরির পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হত।
আরও পড়ুন: মদের দোকানে ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ মহিষাদল
ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতের স্ত্রী প্রীতি বাউড়ি ও তার প্রেমিক মঙ্গলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় তারা অপরাধ স্বীকারও করেছে। অন্তত তেমনই দাবি তদন্তকারীদের। কীভাবে খুন করা হল? জানা গিয়েছে, রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর যৌন সম্পর্কের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামীকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায় প্রীতি। আমবাগানে দু'জনে যখন শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন, তখন সেখানে হাজির হয় প্রীতির প্রেমিক মঙ্গল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিছন থেকে মধুসুদনের মুখ টিপে ধরে সে। সেই সুযোগ প্রীতি নিজেই মৃতের গলার ব্লেড চালিয়ে দেয়। ঘটনার পরের দিন সকালে মধূসুদন বাউরির নলিকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন সকলেই।