ত্রিপুরায় পুনঃনির্বাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল, লাগামছাড়া হিংসা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব সমস্ত বিরোধীরাই
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেস(Trinamool-congress)। এদিকে পুরভোটের(Municipal polls) প্রচার পর্ব থেকেই সে রাজ্যে ছিল টানটান উত্তেজনা। অবশেষে ভোটের দিনে পা রাখতেই গোটা রাজ্যেই শুরু হয় ব্যাপক রাজনৈতিক হিংসা। জায়গায় জায়গায় সংঘর্ষে লিপ্ত হন শাসক ও বিরোধী শিবিরের সমর্থকেরা। যার জেরে প্রার্থীর চোখ নষ্ট হল। কোথাও আবার ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে শাসক বিজেপিকে(bjp)। এদিকে ইতিমধ্যে পুরো আগরতলায় পুনরায় ভোটের দাবি তুলেছে সিপিআইএম(CPIM)। সরব হয়েছে তৃণমূলও। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সদ্য বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখানো তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দোপাধ্যায়(Rajiv Bandopadhay) বলেন, “আমরা বারবার বলে আসছি ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। মানুষ দেখল, আপনারও দেখলেন বিরোধী প্রার্থীদের উপর কীভাবে আক্রমণ শানানো হয়েছে, এমনকী রেহাই দেওয়া হয়নি তাদের পরিবারকেও। কারণ শাসকদল ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তারা এটা বুঝতে পেরেছে মানুষ যদি সঠিক ভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তবে তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেই কারণেই দিনভর নির্বচনের নামে প্রহসন চলল গোটা রাজ্যে।”
কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেসও। বিজেপির দিকেই নিশানা করে তাদের সাফ বক্তব্য, “আমরা দেখেছি কীভাবে বাইরের লোক এনে কীভাবে আগরতলা পৌরসভার বুথ গুলি দখল করা হয়। সব বুথেই ভোটারদের ধমকিয়ে-চমকিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই ভোট দিতে পারেননি। বহু সাধারণ মানুষকে মারধর করা হয়েছে। প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে। বুথে বুথে চলেছে দেদার ছাপ্পা।” অন্যদিকে ত্রিপুরায় পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- “এই কমিশনকে দিয়ে দিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা সম্ভব নয়”, তোপ শমীকের
আগরতলার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তপন কুমার বিশ্বাসকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।তাঁর চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে। আগরতলার(agartala) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পদ্মা ভট্টাচার্যের ছেলে ধীমান ভট্টাচার্যকেও আক্রমণ করা হয় বলে খবর। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, চক্রান্ত করে মিথ্যা তথ্য সামনে আনা হচ্ছে। একাদিক প্ররোচনামূলক খবর ইচ্ছাকৃত ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির কার্যকর্তারা যাতে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সেই চেষ্টা করছে বিরোধী শিবিরের একটা বড় অংশ। তবে মানুষই তাদের রায়ে জানিয়ে দেবেন তাদের সমর্থন কোন দিকে রয়েছে।