সংক্ষিপ্ত
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে ‘ধিক্কার’ বিজেপির, শমীকের নিশানায় রাজ্য সরকারও
প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তো অনেক দূর বঙ্গ বিজেপি(bjp) নেতারা যেন চাইছেন কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভেস্তে যাক পুরভোট(municipal polls)। বৃহঃষ্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তাদের গতিবিধি দেখে এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। এদিকে আদালতে(high court) মামলা চলছে। তারই মধ্যে কী ভাবে নির্বাচন কমিশন(election commission) ভোটের দিন ঘোষণা করে দিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। এমনকী এই ইস্যুতেই এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে(BJP leader Shamik Bhattacharya)।
এদিকে কমিশনের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তুলোধনা করেন তিনি। চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে এদিন শমীক বলেন “কমিশন আজ যা করল আমরা তাতে আমরা ধিক্কার জানাই। দলের তরফ থেকে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের স্পষ্ট বিশ্বাস এই প্রশাসন ও পুলিশ দিয়ে এবং সর্বোপরি এই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা সম্ভব নয়। পুরো বিষয়টি যখন আদালতে চলছে তখন কীভাবে কমিশন একতরফা নির্বাচন ঘোষণা করে দিতে পারে!” এদিকে শমীকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন-প্রশাসনিক জটেই পিছিয়ে গেল হাওড়া পুরসভার নির্বাচন, বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর
এখানেই না থেমে শমীক আরও বলেন, “বিচার চলছে, হাইকোর্ট মামলা গ্রহণ করেছেন। তারপরেও আজকে একতরফা কলকাতার নির্বাচন ঘোষণা করে দেওয়া হল। কোনও নির্বাচনে এর আগে জনমানসের প্রতিফলন ঘটেনি। এই প্রশাসন, এই পুলিশ, এই কমিশনকে দিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।কলকাতার মানুষ কি প্রিভিলেজড ক্লাস? অন্যান্য শহরে বা মিউনিসিপ্যালিটির নির্বাচন কেন হবেনা? আমরা নির্বাচন লড়ব কিন্তু তাও আমরা আইনি জায়গা গুলি বিচার করে দেখব।” অন্যদিকে হাওড়ায় পুরভোট পিছানো ও হাওড়া ও বালি পুরসভাকে আলাদা করে দেওয়া নিয়েও এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন-নির্বাচন কমিশন বলে কোনও বস্তু বাংলায় নেই, পুরভোট নিয়ে চাঁচাছোলা আক্রমণ সুজনের
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “হাওড়ায় ভোট না হওয়ার জন্য রাজ্য সরকার দায়ী। তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী। হাওড়া এবং বালিকে এক করে দেওয়া হল। আবার পাঁচ বছর পর আলাদা করে দেওয়া হল। এটা রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি। বিজেপি নির্দিষ্ট সময় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। আমরা যাবতীয় কথা আদালতে জানাব। প্রয়োজনে আরো উচ্চতর আদালতেও যাব আমরা।” এদিকে খানিক বিজেপির সুরেই গলা মেলাতে দেখা গিয়েছে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। তাঁর দাবি ইচ্ছাকৃত ভাবেই হাওড়ার ভোট নেওয়া হচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণ ভাবে একপেশে সিদ্ধান্ত। রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরও এই ইস্যুতে তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে।