রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংসদে সরব তৃণমূল, মমতার বিরুদ্ধেই সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগ ধনখড়ের

Published : Nov 18, 2019, 04:04 PM ISTUpdated : Nov 18, 2019, 04:05 PM IST
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংসদে সরব তৃণমূল, মমতার বিরুদ্ধেই সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগ ধনখড়ের

সংক্ষিপ্ত

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ  পাল্টা জবাব দিলেন জগদীপ ধনখড় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রাজ্যপাল  

প্রত্যাশিতভাবেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। এ দিন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল বাংলায় রাজনীতি করছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালকে কেন্দ্রের এজেন্ট বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ। সুখেন্দুশেখর রায়ের অভিযোগের জবাব দিয়ে রাজ্যপাল বলেন,   আমি তো সত্যিই কেন্দ্রের এজেন্ট। সংবিধানেই তা বলা আছে। রাজ্যপাল হিসেবে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় রক্ষাই তো আমার কাজ।' শুধু তাই নয়, সাংবিধানিক দায়িত্ব মেনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে রাজ্যর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কিছুই জানাচ্ছেন না বলেও এ দিন গুরুতর অভিযোগ করেন জগদীপ ধনখড়। 

রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, 'রাজ্যপাল বাংলায় রাজনীতি করছেন। যখন যা মনে হচ্ছে বলে দিচ্ছেন। তিনি রাজনীতি করতেই পারেন, কিন্তু রাজ্যপাল পদে থেকে তা করবেন কেন? রাজনীতি করতে হলে তিনি রাজভবন ছেড়ে দিয়ে তার পর করুন।' একই সঙ্গে বাংলায় রাজ্যপাল সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ। সংবিধান মেনে রাজ্যপাল যাতে কাজ করেন, সেই দাবিতেও সরব হন সুখেন্দুশেখর রায়। 

এ দিন শিলিগুড়ি সফরে গিয়ে তৃণমূলের এই সমস্ত অভিযোগের জবাবে আরও অনড় অবস্থান নিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব মেনেই রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যাবেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, '৩০ জুলাই আমি শপথ নিয়েছি। রাজ্যপাল হিসেবে আমার দুটো দায়িত্ব। প্রথমত, ভারতীয় সংবিধানের নিয়মভঙ্গ কেউ যাতে না করতে পারে। দ্বিতীয়ত, আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সেবায় দায়বদ্ধ থাকব। আর তা করতে গেলে আমায় রাজ্যের প্রতিটি অংশে যেতে হবে। এর জন্য আমার কারও অনুমতির প্রয়োজন নেই। তবে রাজ্যপাল হিসেবে জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারকে জানানোটা আমার কর্তব্য। এখনও পর্যন্ত যেখানে যেখানে গিয়েছি রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনকে জানিয়েই গিয়েছি।'

এ দিন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর অভিযোগ, সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে ওয়াকিবহল করার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কিছু জাননানি বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। ধনখড় বলেন, 'বুলবুল ঘূর্ণিঝড় হয়ে যাওয়ার পরে বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও সে সম্পর্কে কোনও কিছুই মুখ্যমন্ত্রী আমাকে জানাননি।' যদিও তাঁর আশা, দু' চার দিনের মধ্যেই মুখ্য়মন্ত্রী বুলবুল নিয়ে তাঁকে জানাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। 

রাজ্যপাল দাবি করেন, কখনওই কোনও মন্ত্রীকে চিঠি লেখেন না তিনি। সব চিঠিই লেখেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিজে চিঠি লেখা দূরে থাক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও তাঁকে কোনও চিঠির জবাব দেননি বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। 

তিনি যে সমান্তরাল কোনও প্রশাসন চালানোর উদ্দেশ্য নিয়ে জেলা সফরে যাচ্ছেন না, এ দিন তা বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, রাজ্যপাল হিসেবে তিনিই প্রথম উত্তর চব্বিশ পরগণার সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়েছেন। তাও আবার বিএসএফ-এর আমন্ত্রণে। একইভাবে তাঁর অন্যান্য জেলা সফর এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন রাজ্যপাল। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে চরম বিশৃঙ্খলা, স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের
'বাংলার ফুটবল ইতিহাসে আজ কলঙ্কময় দিন', যুবভারতীর ঘটনায় তীব্র নিন্দা সুকান্তর