
বিষ্ণুপুরে ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে তৃনমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ ( TMC Collission)। পড়লো বোমা, চললো গুলি, গুলি বিদ্ধ হয়েছেন একজন। তৃণমূল নেতা বীরেন মণ্ডলকে লক্ষ করে গুলি চালানোর অভিযোগ। পূর্ব বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বাগি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত এক। এলাকায় বোমের সুতলি ও স্পিংটারে পড়ে রয়েছে। পড়ে আছে গুলির ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ (Bishnupur Police)।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বীরেন মণ্ডলকে লক্ষ করে গুলি চালায় বেতাল মণ্ডল বলে অভিযোগ। তবে তাঁর দলবল গুলি লক্ষ ভ্রষ্ট হওয়ার কারণে কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচে বীরেন মণ্ডল। বীরেন মণ্ডল সঙ্গে থাকা দুই প্রতিবেশী প্রদীপ নস্কর এবং প্রভাত গায়েনকে ধরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। এরপর রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে তাঁরা। প্রভাতকে বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় মারে বলে অভিযোগ। এছাড়াও প্রাণ বাঁচিয়ে প্রদীপ নস্কর পালাতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বেতাল মণ্ডল এবং তাঁর দলবল গুলি গিয়ে লাগে প্রদীপ নস্করের বাম পায়ের উরুতে। মুড়িমুড়কির মতো বোমা বৃষ্টি এবং গুলি চলে বলে অভিযোগ। এদিকে সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসে স্থানীয় মানুষ জন। এরপরেই চম্পট দেয় বেতাল মণ্ডল ও তাঁর দলবল।
আরও পড়ুন, সবার অনুপস্থিতির সুযোগে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, ঘুটিয়ারি শরীফে পুলিশের জালে প্রৌঢ়
এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় মানুষ ও বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ গুলিবিদ্ধ প্রদীপ নস্করকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রদীপের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় চিকিংসকেরা ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে স্থানান্তরিত করে ।এলাকায় তাজা বোমা পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ এক জনকে আটক করেছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়েই পুরোভোটের আগে একাধিক সংঘর্ষের খবর প্রকাশ্যে আসছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধের অভিযোগ আসছে প্রার্থী তালিকা কেন্দ্র করে। রাজ্যে এনিয়ে কম তোলপাড় হয়নি। একাধিক জায়গায় এরপর প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েচে। টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধও চলেছে। তবে তারপর কিছু জায়গায় প্রার্থী বদলও হয়েছে। তারপরেও একাধিক জেলায় থামেনি অশান্তি। বাধ্য হয়ে একের পর এক প্রার্থীকেই দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল।