তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মার খেলেন দলেরই এক নেতা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বাসন্তীর চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
আহত ওই তৃণমূল নেতার পঞ্চায়েত সদস্যের নাম সামির সর্দার। তিনি চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। সামির সর্দারের অভিযোগ, স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা মাজেদ মোল্লার নেতৃত্বে তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়েছে। অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।
এ দিন নিজের মোটরবাইকে চেপে কোটরাখালি এলাকা থেকে ফিরছিলেন সামির সর্দার। সেই সময়ে খাঁপাড়া এলাকায় পৌঁছতেই একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপরে হামলা করে বলে অভিযোগ। বাইক থামিয়ে বেলাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। মারের চোটে হাতে, মুখে গুরুতর আঘাত পান সামির সর্দার। এর পরেই এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। যুব তৃণমূল নেতা মাজেদ মোল্লা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, মদ্যপ অবস্থায় দু' পক্ষ মারপিট করাতেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেন ওই যুব তৃণমূল নেতা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আক্রান্ত সামির সর্দার গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের অনুগামী। অন্যদিকে অভিযুক্ত যুব নেতা মাজেদ মোল্লা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে দল।
লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফল হওয়ার কারণ হিসেবে অনেক জায়গাতেই শাসক অন্তর্দ্বন্দ্বের ঘটনা সামনে এসেছে। দলীয় সভায় বার বারই দলীয় নেতা কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও যে কাজের কাজ কিছু হয়নি, এ দিনের ঘটনা তারই প্রমাণ।