করোনা টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়েছিল আজকেই । কিন্তু বাঁচানো গেল না । এদিন দুপুরে শ্রীরামপুর শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতালে মারা গেলেন দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান জাকির হোসেন মন্ডল । কতই বা বয়স হয়েছিলো তাঁর ? সবেমাত্র পঞ্চাশের কোটায় পা দিয়েছিলেন তিনি । ধনিয়াখালি র বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অসীমা পাত্রের ঘনিষ্ঠ এই নেতার আকস্মিক মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব ।
হুগলি জেলায় এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক নেতার কোভিডে মৃত্যু হল । এর আগে শ্রীরামপুরের তৃণমূল নেতা তথা বিদায়ী কাউন্সিলর পিনাকি ভট্টাচার্যের করোনা ধরা পড়ে । হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিও সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । পিনাকিবাবু এখনও ভর্তি । অবস্থাও খুব ভালো নয় । লকেট স্থিতিশীল । জানা গেছে গত ৭ দিন আগে জাকিরের প্রবল স্বাসকষ্ট হয় । ভর্তি ছিলেন ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে।
সেখানে করোনা টেস্ট হলেও নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছিল। কিন্তু উপসর্গ না কমায় দিন তিনেক আগে তাঁকে চন্দননগরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিলো । পুনরায় তাঁর টেস্ট হয় । এদিন সকালে ওই রিপোর্ট পজিটিভ আসে । সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে জেলার কোভিড হাসপাতাল শ্রীরামপুর শ্রমজীবীতে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাঁকে বাঁচানো যায়নি । এদিন দুপুরেই তাঁর মৃত্যু হয় ।
উল্লেখ করা যেতে পারে সম্প্রতি আমফান ত্রাণে গরমিলের জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলীয় তদন্তে বেশ কিছু নেতার নাম পাওয়া গেছিলো । তাদেরকে শোকজ ও করা হয় দল থেকে । এদের মধ্যে জাকিরের নামও ছিল । কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সেই শোকজ এর উত্তর দেওয়ার সময়ও পেলেন না তিনি । এদিন হুগলির জেলাশাসক রত্নাকর রাও জেলায় মোট ২১টি এলাকা কনটেন্টমেন্ট জোন জোন ঘোষণা করেছেন ।
এই জোনগুলিতে কঠোর ভাবে লকডাউন মানার জন্য প্রশাসন কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । হুগলি জেলায় এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে ৪০০- র কোটায় পা দেওয়ার মুহূর্তে আছে বলে সূত্রের খবর । সূত্র ( স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন )এদিন দুপুরে চুচূড়া আখনবাজারে এস বি আই এর শাখাও বন্ধ করে দেওয়া হয় এক কর্মীর করোনা হওয়ায় । এমত অবস্থায় সমগ্র জেলায় আবার লকডাউনই উপযুক্ত পথ বলে মনে করছেন জেলার ওয়াকিবহাল মহল।