ফের বিতর্কে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহেমদ। এবার দলেরই এক দীর্ঘদিনের নেতাকে কাইজার বাড়ি গিয়ে খুনের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় কাইজার এবং তাঁর অনুগামীদেরর বিরুদ্ধে ভাঙড় থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাইজার।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ভাঙড়ের বড়ালি এলাকায়। অভিযোগকারী ওই তৃণমূল নেতার নাম ফজলে করিম। তাঁর অভিযোগ, গত রবিবার এলাকায় যুব তৃনমূলের একটি সভা ছিল। সেই সভায় গিয়েছিলেন ফজলে করিম। তার পর সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে এসে কাইজার আহমেদের অনুগামীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমন কী, ওই তৃণমূল নেতাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেল কাইজার অনুগামীরা পালায় বলে দাবি অভিযোগকারী নেতার।
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের প্রচারে বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপের, দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন- কাশ্মীরের সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তুলনা, ফের বিস্ফোরক ধনখড়, দেখুন ভিডিও
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই দলে রয়েছেন করিম। প্রথম থেকেই তিনি প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের সভাপতি ছিলেন। গত লোকসভা ভোটের পর কাইজার আহমেদ অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে অন্যায় ভাবে তাঁকে সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এর পরেই তিনি যুব তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকছিলেন। সেই কারণেই গত রবিবার যুব তৃণমূলের মিটিংয়ে যান করিম। বাড়িতে হামলা এবং খুনের হুমকি পাওয়ার পরই সোমবার সন্ধ্যায় কাইজার আহমেদ এবং প্রাণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মফিজুল ইসলামের নামে ভাঙড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন করিম।
অভিযুক্ত কাইজার আহমেদের অবশ্য দাবি, ফজলে করিম এলাকায় দলের নেতা এবং মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। তার বাড়িতে গিয়ে কয়েকজন গ্রামবাসী এই আচরণেরই প্রতিবাদ করেছেন। ওই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ তুলেছেন কাইজার। তাঁর দাবি, পুলিশ গিয়ে গোটা বিষয়টি মিটিয়ে দিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।
ভাঙড়ের রাজনীতিতে বরাবরই আরাবুল বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাইজার আহমেদ। আরবুল বাহিনীর সঙ্গে বচসা, সংঘর্ষে জড়িয়ে তিনিও বারবার শিরোনামে এসেছেন। বর্তমানে আরাবুল ভাঙড়ে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ায় আরও দাপট বেড়েছে কাইজারের।