রাজ্য ভোটের দফা যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের সংখ্যার নিরিখে অবশ্য বাম, কংগ্রেসের থেকে অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি। ভোটের দিন হোক বা ভোটের আগে-পরে, তৃণমূল-বিজেপি-র সংঘর্ষ, গণ্ডগোলের একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। শাসক দলের বিরুদ্ধে অবশ্য বাম, কংগ্রেসেরও অভিযোগের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ডায়মন্ড হারবারের মতো কয়েকটি কেন্দ্রে তো বাম প্রার্থীদের উপরে হামলার অভিযোগও উঠেছে।
এ বার অবশ্য উলাটপুরাণই বলা যায়। কারণ বাম প্রার্থীর বিরুদ্ধেই থানায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল নেতা। তাও আবার দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের খাসতালুক দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে। জানা গিয়েছে, দলীয় পতাকা লাগানো নিয়েই গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
যাদবপুর কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে ভাঙড়। এবার সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে লড়াই সিপিএমের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। বিকাশরঞ্জনের বিরুদ্ধেই ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভাঙড় এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নজরুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ গত শনিবার বাম প্রার্থী প্রাণগঞ্জ পঞ্চায়েতের মরিচা গ্রামে তাঁর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছেন। যদিও ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না বলেই দাবি করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে এসেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় বেশ কিছু সিপিএমের পতাকা লাগানো ছিল। সেই পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পিছনে তৃণমূল নেতা নজরুল রয়েছেন জানতে পেরেই তাঁর বাড়িতে হাজির হন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। অবিলম্বে তৃণমূলের পতাকা খুলে ফেলার জন্য তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আসেন বলে অভিযোগ ওই তৃণমূল নেতার। তা না হলে তাঁকে এলাকা ছাড়া করার হুমকিও বাম প্রার্থী দিয়ে আসেন বলেই দাবি ওই তৃণমূল নেতার। যদিও, এই ঘটনায় বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি।