ভর সন্ধেবেলায় উত্তর চব্বিশ পরগনার নিমতায় গুলি করে খুন করা হল এক তৃণমূল নেতাকে। মৃতের নাম নির্মল কুণ্ডু। তিনি উত্তর দমদম পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সভাপতি ছিলেন। এই খুনের পিছনে বিজেপি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শাসক দল। মঙ্গলবারই বাঁকুড়ার শালতোড়ায় এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি-র বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের পাড়াতেই বাড়ির সামনে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন নির্মলবাবু। অভিযোগ, সেই সময়ে মোটরবাইকে চড়ে হেলমেট পরা দুই দুষ্কৃতী সেখানে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা নির্মলবাবুর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান ওই তৃণমূল নেতা। সঙ্গে সঙ্গেই এলাকা ছেড়ে পালায় দুই দুষ্কৃতী।
দ্রুত নির্মলবাবুকে উদ্ধার করে বেলঘড়িয়ার একটি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। নিমতা থানার পুলিশ গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এ ছাড়াও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট থেকেও পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে বিজেপি রয়েছে। গুলি চালিয়ে এলাকা ছাড়ার সময় দুষ্কৃতীরা 'কাজ হয়ে গিয়েছে' বলে চিৎকার করে বলেও দাবি প্রত্যাক্ষদর্শীদের। বিজেপি-র অবশ্য দাবি, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন হয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, যথেষ্ট পরোপকারী ছিলেন নির্মলবাবু। এ দিন যে দুষ্কৃতীরা এসেছিল, তারা কোনও সুযোগ না দিয়েই নির্মলবাবুর উপরে গুলি চালিয়ে দেয়। হেলমেট পরে থাকায় দুষ্কৃতীদের চেনা যায়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।
গত সোমবারই নিমতার কল্যাণী রোডে একটি চায়ের দোকানে বিজেপি সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তাঁদের মারধর করা হয়ে বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল বিজেপি।