তৃণমূল সাংসদ আবার আইএমএ সভাপতিও, চিকিৎসক বিক্ষোভে উভয় সংকটে শান্তনু

  • তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন
  • চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সভাপতিও তিনি
  • চিকিৎসকদের বিক্ষোভে তাই চাপে শান্তনু
  • দল এবং আইএমএ পদের মধ্যে ভারসাম্যের চেষ্টা
     

debamoy ghosh | Published : Jun 14, 2019 4:42 AM IST / Updated: Jun 14 2019, 11:30 AM IST

একদিকে তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ, অন্যদিকে চিকিৎসকদের বৃহত্তম সংগঠন আইএমএ-র সর্ভারতীয় সভাপতি। নিগ্রহের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি এবং সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পরিস্থিতিতে তাই বেশ বেকায়দায় পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। দল এবং চিকিৎসক সংগঠন, দুইয়েরই ভারসাম্য রেখে চলতে হচ্ছে এই চিকিৎসক নেতাকে। 

 

বাংলায় চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে আন্দোলেন পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্যান্য রাজ্যের চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএমে গিয়ে চিকিৎসকদের কার্যত হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে আরও একজোট চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবারই বিবৃতি জারি করে সব রাজ্যের শাখা সংগঠনকে প্রতিবাদে নামতে আর্জি জানিয়েছে আইএমএ। সেই বিবৃতিতে অন্যান্য পদাধিকারীদের সঙ্গে সই রয়েছে সংগঠনের সভাপতি শান্তনুবাবুরও। আবার নিজের ফেসবুকে শান্তনু সেন শুক্রবার সকালে রোগী- চিকিসক সুসম্পর্কের প্রতি সওয়াল করেছেন। সেখানে চিকিৎসক নিগ্রহ কাণ্ডে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশি তৎপরতা এবং রাজ্য সরকারের মানবিক মুখের কথা উঠে এসেছে শান্তনুবাবুর কথায়। চিকিৎসকদের একতা এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসকদের কাজ করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তৃণমূল সাংসদ। সবমিলিয়ে আইএমএ-র সভাপতি হিসেবে সাংগঠনিক পদ এবং দলের প্রতি আনুগত্যের মধ্যে ভারসাম্য রেখেই নিজের মতামত পেশ করার চেষ্টা করেছেন শান্তনুবাবু। 

কিন্তু নিজের ফেসবুক পোস্টেও কোথাও চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তিনি সমর্থন করেন কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি এই চিকিৎসক নেতা। এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য ফোন করা হলেও তাঁকে মোবাইলে ধরা সম্ভব হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তারও কোনও উত্তর দেননি শান্তনুবাবু। 

 

নিজের ফেসবুক পোস্টে শান্তনুবাবু কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও তার সঙ্গে বাস্তবে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা কতটা সহমত, সেই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, নিরাপত্তা এবং চিকিৎসক নিগ্রহ কাণ্ডে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির প্রতিবাদেই আন্দোলন করছেন চিকিৎসকরা। গণ ইস্তফা দেওয়াও শুরু হয়েছে কোথাও কোথাও। মুখ্যমন্ত্রী অন্দোলন তুলতে বৃহস্পতিবার বেলা দুটো পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেও তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। উল্টে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে মন্তব্যের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। 

অন্য দিকে যেহেতু তিনি আইএমএ সভাপতি পদে রয়েছেন, তাই বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রফাসূত্র বের করা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য দলীয় চাপও রয়েছে শান্তনুবাবুর উপরে। নিজের ফেসবুক পোস্টেই শান্তনুবাবু লিখেছেন, বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের নেতাদের সঙ্গেও লাগাতার কথা বলেছেন তিনিষ কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই চেষ্টায় যে খুব একটা কাজ হয়নি, তা স্পষ্ট। বরং মুখ্যমন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের হুঁশিয়ারির পরে পরিস্থিতি অনেকটাই আয়ত্ত্বের বাইরে চলে গিয়েছে। 

Share this article
click me!