কাটমানির অভিযোগে আইনি পদক্ষেপ, দশ কোটির ক্ষতিপূরণ চাইলেন তৃণমূল সাংসদ

  • তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ
  • অভিযোগ করেন এক প্রমোটার
  • পাল্টা অভিযোগকারীকে আইনি নোটিস শান্তনু সেনের
  • ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি দশ কোটি ক্ষতিপূরণ দাবি

debamoy ghosh | Published : Jun 25, 2019 3:36 AM IST / Updated: Jun 25 2019, 09:09 AM IST

কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ কেউ স্বীকার করে নিচ্ছেন, কোনও কোনও তৃণমূল নেতা আবার এলাকা ছেড়েই পালাচ্ছেন। কিন্তু এবার প্রথম কাটমানির অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটলেন তৃণমূলের কোনও নেতা। কাটমানি বা তোলাবাজির অভিযোগ করার জন্য অভিযোগকারী প্রমোটারকে আইনি নোটিস পাঠালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। অভিযোগকারী প্রমোটার সুমন্ত চৌধুরীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন সাংসদের আইনজীবী। 

কয়েকদিন আগেই কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই প্রমোটার অভিযোগ করেন, ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকাকালীন তাঁর থেকে নিয়মিত তোলা আদায় করতেন শান্তনুবাবু। কোনও নির্রাণ প্রকল্পে হাত দিতে গেলেই কাঠা পিছু ২ কোটি টাকা দিতে হত তৃণমূল কাউন্সিলরকে। শুধু তাই নয়, এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ চালু করার জন্যও শান্তনুবাবুকেই দায়ী করেন ওই প্রমোটার। তাঁর দাবি ছিল, ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য সবমিলিয়ে শান্তনু সেনকে তিনি ৪০ থেকে ৪২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। 

আরও পড়ুুন- কাঠা পিছু দু' লক্ষ, তৃণমূল সাংসদ শান্তনুর বিরুদ্ধে কাটমানি অভিযোগ প্রমোটারের


এই অভিযোগ সামনে আসার পরে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়ায়। শান্তনুবাবু ২০১৮ সালে রাজ্যসভার সাংসদ হন। তার আগে ২০১০ সালে কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। এর পরে ২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভারই ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পেশায় চিকিৎসক শান্তনুবাবু কয়েকদিন আগেই চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন আইএমএ-র সভাপতি নির্বাচিত হন। সংসদের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যও তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় চিকিৎসক মহলেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। 

অভিযোগ সামনে আসার পরেই শান্তনুবাবু আইনি পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছিলেন। সেই মতোই অভিযোগকারী সুমন্ত চৌধুরীকে চিঠি পাঠিয়েছেন সাংসদের আইনজীবী। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজনৈতিক স্বার্থে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সম্মানহানি করার জন্য এমন মিথ্যে অভিযোগ করেছেন ওই প্রমোটার। পাশাপাশি এমন গুরুতর অভিযোগের ফলে শান্তনুবাবু এবং তাঁর পরিবারের সম্মানহানির পাশাপাশি একজন চিকিৎসক হিসেবে তাঁর পেশাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে এই অভিযোগ নিয়ে চর্চা শুরু হওয়ায় সাংসদ শান্তনু সেন এবং তাঁর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে প়ড়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।  

অভিযোগের স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারলে তাঁর আনা সমস্ত অভিযোগ যে মিথ্যে, সাংবাদিক বৈঠক করে তা স্বীকার করে নেওয়ার জন্য অভিযোগাকারী সুমন্ত চৌধুরীকে বাহাত্তর ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সম্মানহানিরল জন্য আট কোটি এবং মানসিক উদ্বেগ ও হয়রানির জন্য আরও ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই প্রমোটারের থেকে দাবি করা হয়েছে। ওই প্রমোটার যদি তা না করেন, তাহলে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপের নেওয়া হবে বলেও সাংসদের আইনজীবী অভিযোগকারী প্রমোটারকে সতর্ক করেছেন।

Share this article
click me!