তৃণমূলে কোনও কার্যনির্বাহী সভাপতির পদ গঠিত হচ্ছে না, সাফ জানালেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ

একটি প্রথম সারির সংবাদ সংমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী তৃণমূল নাকি জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতির পদ গঠন করতে চলেছে। শনিবার কুণাল ঘোষও জানিয়েছেন পুরো বিষয়টি একেবারে ভিত্তিহীন। 
 

Kasturi Kundu | Published : Jan 16, 2022 12:36 AM IST

তৃণমূল (TMC) সংবিধানের রদবদল। সংবিধান সংশোধন করে জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতির পদ খারিজ করে দিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। একটি প্রথম সারির সংবাদ সংমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী তৃণমূল নাকি জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতির (National Executive President) পদ গঠন করতে চলেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলের(TMC) তরফে জানান হয়েছে এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। র আগেই শাসক দলের তরফে সোশ্যাল সাইট ট্যুইটারে এই বিষয়টি কিন্তু জানান হয়েছিল। শনিবার ফের  সেই একই কথা জানান সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের বা পিকের সংস্থা আইপ্যাক তৃণমূলের সংবিধানে রদবদলের কাজ করছে বলে গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। প্রথম সারির সেই সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তারা নাকি তৃণমূলের সংবিধান সংশোধনের খসড়ার বিভিন্ন বিষয় ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে। আর সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিও তাদের হেফাজতে রয়েছে। সেই ভিত্তিতেই তৃণমূলে কাঠামোগত পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে বলে দাবি করে ওই সংবাদমাধ্যম। কিন্তু শনিবার কুণাল ঘোষও(Kunal Ghosh) জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি একেবারে ভিত্তিহীন। 

ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কার্যনির্বাহী সভাপতি পদের জন্য দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেকই প্রথম পছন্দ হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।  নীলবাড়ির লড়াইয়ে বিপুল জয় পাওয়ার পরই রাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে তৃণমূল জাতীয় রাজনীতিতে আরও অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে। আর সেই পরিস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস জরুরি হয়ে পড়েছে বলেই দাবি সেই সংবাদ মাধ্যমের। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকের পর দলের শীর্ষনেতারা জানিয়েছিলেন, দলের সংবিধানে রদবদল আনার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। আর সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত কিশোর বা পিকে-ও। বিধানসভা ভোটে জয়ের পর তৃণমূলের সঙ্গে পিকে-র সংস্থা আইপ্যাক-এর আরও পাঁচ বছরের জন্য নবীকৃত হয়েছে। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করবে।

আরও পড়ুন-মদন মিত্রর ছেলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ, 'বাঁচতে চেয়ে' সোশ্যাল মিডিয়ায় কাতর আর্তি পুত্রবধূর

আরও পড়ুন-অভিষেক-কল্যাণ ইস্যুর পর কোন পথে দল, 'বিশেষ বার্তা'য় কী জানালেন সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়

এদিকে পিকে-র তরফে যে নথি এই সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে সেখানে ২০০০ সদস্যের জাতীয় পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে।  পরিষদে ৩৩ শতাংশ করে মহিলা এবং তফসিলি জাতি-উপজাতির প্রতিনিধিত্ব থাকবে। কার্যনির্বাহী সভাপতি পদ সৃষ্টির খবরকে বুড়ো আঙুল দেখালেও অন্য় রদবদল নিয়ে প্রকাশিত খবরে কোনও প্রতিক্রিয়া দেন নি কুণাল ঘোষ। প্রসঙ্গত, তৃণমূল দল প্রতিষ্ঠাতার পর থেকেই দলের সংবিধান বদল করে জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি পদ আনার একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল ঘাস ফুল শিবিরে। আর সেই পদের জন্য নাকি বেছে নেওয়া হবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাজে বিশেষভাবে সাহায্য করার জন্যই নাকি এই পদ তৈরি হতে পারে। কিন্তু শনিবার শাসক দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই খবরের কোনও সত্যতা নেই। বরং সংবিধান সংশোধন করে যে বিষয়টি নিশ্চিত করা হতে চলেছে, তা হল ছ জন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ করা হবে। তাঁরা দলের সংগঠন এবং কাজকর্ম দৈনিক ভিত্তিতে দেখাশোনা করবেন। তৃণমূলের সদস্যপদ এবং সদস্যদের ফি নিয়েও বদল আনা হচ্ছে। এছাড়াও ২০০০ জন সদস্যকে নিয়ে একটি জাতীয় পরিষদ গঠন করা হবে। দলের শীর্ষনেতাদের মতে, ২০১১ সালে দল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা শুরু করেছে। তাই দলের কাঠামোর পুনর্বিন্যাস আরও জরুরি। 


 

Share this article
click me!