পার্কে অনুষ্ঠান করা নিয়ে বিবাদে চলল গুলি। বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হল একটি রেস্তেরাঁয়। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের। ধুন্ধুমার কাণ্ড দুর্গাপুরে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলির খোল। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক চলাকালীন বিষ খেয়ে আত্মহত্য়ার চেষ্টা, বরাত জোরে রক্ষা পেল ছাত্রী
জানা গিয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে রবিবার একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল ইস্পাতনগরীর এ জোনে, কুমারমঙ্গলম পার্কে। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন নেতা-মন্ত্রীরাও। লিজ নিয়ে ওই পার্কে রেস্তেরাঁ চালান দেবাশিস রায় নামে এক ব্যক্তি। তিনি আবার এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। শনিবার সকালে যখন তৃণমূলের অনুষ্ঠানের জন্য কুমারমঙ্গলম পার্কে প্যান্ডেল করতে যান ডেকরেটরসের কর্মীরা, তখন দেবাশিষ তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু কেন? ওই বিজেপি কর্মীর দাবি, এত ছোট পার্কে নেতা-মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। তিনি আপত্তি করেছিলেন। কিন্তু সেকথা কানেই তোলেননি উদ্যোক্তারা। অনুমতি ছাড়াই পার্কে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই ঘটনা কেন্দ্র করেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ জনকে নিয়ে দুর্গাপুরের কুমারমঙ্গল পার্কে চড়াও হন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ। শুধু তাই নয়, দেবাশিষ রায়ের সহযোগী বিজেপি কর্মী অতুল বাগদিকে লক্ষ্য তিন রাউন্ড গুলি চলে বলেও অভিযোগ। এরপর প্রাণভয়ে অতুল যখন বন্ধু দেবাশিষ রেস্তারাঁয় ঢুকে পড়েন, তখন সেখানেও কাউন্সিলরের অনুগামীরা ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। রেস্তোরাঁটি কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে চাপতে গিয়ে প্রায় মৃত্যুর মুখে যাত্রী, আরপিএফ জওয়ানের চেষ্টায় বাঁচল প্রাণ
দেবাশিষ রায়ের বক্তব্য, তিনি বিজেপি করেন বলে ইচ্ছাকৃতভাবে রেস্তারোঁ ও পার্কে হামলা চালানো হয়েছে। আর স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব ঘোষের পাল্টা দাবি, দেবাশিস লিজ নেওয়ার পর থেকে পার্কে নানাধরণের অসামাজিক কার্জকর্ম শুরু হয়েছে। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, দিনেদুপুরে পার্কে গুলিচালনার ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।