'দুর্ঘটনার দিন স্কুলে যেতে চায়নি ঋষভ', ছেলের মৃতদেহের সামনে জ্ঞান হারালেন বাবা-মা

 

  • আটদিন পর ছেলের নিথর দেহ এল বাড়িতে
  • জ্ঞান হারালেন ঋষভ সিং-এর বাবা-মা
  • শেষযাত্রায় মানুষের ঢল নামল
  • হাজির ছিলেন দিব্য়াংশ ভগতের দাদুও

Tanumoy Ghoshal | Published : Feb 22, 2020 2:32 PM IST / Updated: Feb 23 2020, 01:12 AM IST

কেন যে ছেলেকে জোর করে স্কুলে পাঠিয়েছিলেন? আক্ষেপ যেন কিছুতেই যাচ্ছে না! বাড়িতে ছেলের মৃতদেহ পৌঁছতেই জ্ঞান হারালেন ঋষভের বাবা-মা। একরত্তি ছেলেটার শেষযাত্রায় শনিবার মানুষের ঢল নেমেছিল শ্রীরামপুরে। হাজির ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী  তপন দাশগুপ্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দনগরের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর ও দিব্যাংশুর দাদুও।

আরও পড়ুন: 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কাদের শেখাব', ঋষভের মৃত্যুতে চোখে জল সাংসদেরও

বাড়ি সেদিন পিসির বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। কিছুতেই স্কুলে যেতে চাইছিল না দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ঋষভ সিং। বাবা-চাপেই স্কুলে যেতে হয়েছিল তাকে। আর সেটাই কাল হল। যে পুলকার চেপে স্কুলে যাচ্ছিল ঋষভ, সেই গাড়িটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা কবল পড়ে, ১৪ ফ্রেরুয়ারি, প্রেমদিবসের সকালে। পোলবার কামদেবপুরের কাছে দিল্লি রোডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলকারটি উল্টে যায় রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে। খবর পেয়ে যখন চুঁচুঁড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে পৌঁছন পরিবারের লোকেরা, ততক্ষণে চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছে ঋষভের। কিন্তু শারীরিক অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক ছিল, যে গ্রিন করিডোর করে তাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে। এরপর কখনও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, তো কখনও সঙ্কট বেড়েছে। টানা আটদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গিয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রটি। শেষপর্যন্ত আর পারল না! চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শনিবার ভোরে রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পুলকার দুর্ঘটনায় জখম ঋষভ সিং।  ছেলের মৃত্য়ু খবর শুনে হাসপাতালে কান্না ভেঙে পড়েন শ্রীরামপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সন্তোষ সিং ওরফে পাপ্পু। তাঁকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে চোখের দল বাঁধ মানে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

 

ময়নাতদন্তের ঋষভের দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। শনিবার বেলা বারোটার কিছু পরে শববাহী এসে পৌঁছয় শ্রীরামপুরের বেনিয়াপাড়া বাড়িতে। ফুলে-মালায় ঢাকা শরীর, দেখা যাচ্ছিল শুধু মুখটা। ফুটফুটে ছেলেটাকে যে এভাবে দেখতে হবে! তা ভাবতেই পারেননি কেউই। শেষবারের মতো ঋষভ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। বাড়ির কাছেই চাতরা কালিবাবু শ্মশানের ঋষভের মুখাগ্নি করেন দাদা আয়ুষ।

Share this article
click me!