মন্ত্রীর উপস্থিতিতে তৃণমূলের মিছিল, পুড়ল বাস-আক্রান্ত পুলিশ, রণক্ষেত্র ইসলামপুর

  • মন্ত্রীর উপস্থিতিতে তৃণমূলের মিছিলে ধুন্ধুমার উত্তর দিনাজপুরে
  • চাকুলিয়ায় গাড়িতে ভাঙচুর ও বাসে আগুন লাগালেন শাসকদলের কর্মীরা
  • পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের
  • ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের শেলও
     

Tanumoy Ghoshal | Published : Dec 16, 2019 3:10 PM IST / Updated: Dec 16 2019, 08:54 PM IST

কলকাতায় নাগরিকত্ব আইনে প্রতিবাদে মহামিছিলে যখন গন্ডগোল রুখতে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন তৃণমূলের মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়াল উত্তর দিনাজপুরে। খোদ মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই ভাঙচুর চলল বেশ কয়েকটি গাড়িতে, পুড়ল সরকারি বাসও। পুলিশ ও তৃণমূল কর্মীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চাকুলিয়ার কানকি এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হল পুলিশকে। 

নাগরিকত্ব আইনে প্রতিবাদে সোমবার উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া মিছিল বের করে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। মিছিল যোগ দেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানী।  কিন্তু তাতেও অশান্তি ঠেকানো  গেল না।  মিছিল যখন স্থানীয় কানকি এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে কাছে পৌঁছয়, তখন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ।  উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করলে, মিছিল থেকে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথবৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে সরকারি বাসে আগুনও লাগিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে।  দলের কর্মী-সমর্থকরা যে চাকুলিয়ায় মিছিল করেছেন, সেকথা স্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল। তাঁর দাবি, মিছিল মিশে গাড়িতে ভাঙচুর ও বাসের আগুন লাগিয়েছেন দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে এই ঘটনায় শান্তি মিছিলের নামে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি। মন্ত্রী গোলাম রব্বানির পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন।  উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে গত কয়েকদিন ধরে রীতিমতো তাণ্ডব চলছে রাজ্যের সর্বত্রই।  রাজ্যবাসীকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট কলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। দলের কর্মীাই কি দলনেত্রী কথা শুনছেন? উত্তর দিনাজপুরের ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। 

Share this article
click me!