রক্তদানে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ, পথ দেখালেন একদল কলেজ পড়ুয়া

  • নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে বাংলা
  • আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট
  • কালনায় অভিনব কায়দায় প্রতিবাদে শামিল পড়ুয়ারা
  • সরকারি হাসপাতালে গিয়ে রক্তদান করলেন তাঁরা

Tanumoy Ghoshal | Published : Dec 16, 2019 12:08 PM IST / Updated: Dec 16 2019, 05:40 PM IST

অশান্ত বাংলায় অভিনব প্রতিবাদ। নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে রক্তদান করলেন একদল কলেজ পড়ুয়া।  সোমবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমানের কালনা।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনের নাম তাণ্ডব চলছে রাজ্যের সর্বত্রই। আন্দোলন আর স্রেফ অবরোধ-বিক্ষোভের সীমাবদ্ধ নেই, জাতীয় সড়কে জ্বলছে বাস, স্টেশনে পুড়ছে ট্রেন। অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক, বাতিল বহু ট্রেন। বিপাকে সাধারণ মানুষ। মামলা গড়িয়েছে আদালতেও। অশান্তি বন্ধে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ হাইকোর্টে মামলা করেছেন এক বিজেপি নেতা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কী পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন? রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। রাজ্যের রাষ্ট্রপতি শাসন দাবিও ওঠেছে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন পূর্ব বর্ধমানের কালনায় অভিনব কায়দায় নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে জানিয়ে নজির গড়লেন একদল কলেজ পড়ুয়া।

আরও পড়ুন: সিএবি-র থাবা বৈষ্ণবতীর্থেও, শুনশান নবদ্বীপ ও মায়াপুর

আরও পড়ুন: বইয়ের পাশাপাশি মার্শাল আর্ট, বিনামূল্য়ে সুশিক্ষা দিচ্ছেন বর্ধমানের অনিমা দেবী

শীতের মুখে রাজ্যে রক্তের সংকটে চরমে পৌঁছায়। এক বোতল রক্তের জন্য হন্যে হয়ে এক ব্লাড ব্যাংক থেকে অন্য ব্লাড ব্যাংকে ঘুরতে হয় রোগীর পরিজনদের। সোমবার সকালে স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে রীতিমতো মিছিল করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে হাজির হন একদল কলেজ পড়ুয়ারা। কিন্তু সংকট মেটানোই নয়, এই রক্তদানের আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল। যাঁরা রক্ত দিতে এসেছিলেন, তাঁদের হাতে ছিল একটি ব্যানার। ব্যানারে লেখা ছিল, 'এনআরসি ও সিএবি-এর বিরুদ্ধে আগুন জ্বালিয়ে নয়, প্রতিবাদ হোক রক্তদানে মাধ্যমে।'

উল্লেখ্য, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে নয়, রাজ্যে গণতান্ত্রিক কায়দায় নাগরিকত্বআইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতায় তিনি নিজেও আম্বেদকরের মূর্তি থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরপর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন। রেড রোড থেকে মিছিল শুরুর আগে উপস্থিত সকলকেই বাংলার এনআরসি হবে না বলে শপথবাক্যও পাঠ করিয়ে নেন তিনি।  

Share this article
click me!