'বিজেপি-এর গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের ছক প্রকাশ্যে চলে এল।' বিমল গুরুং-এর এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত স্বাগত জানাল তৃণমূল। বুধবার রাতে টুইট করা হল দলের তরফে।
পাহাড়ে অশান্তির পর আত্মগোপন করেছিলেন তিন বছর। প্রকাশ্যে আসার পর এবার এনডিএ ছেড়ে তৃণমূলের হাত ধরলেন বিমল গুরুং। কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন, ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে লড়াই করতে চান তিনি। তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এনডিএ সম্পর্কে মোহভঙ্গের কারণটা কী? বিমল গুরুং-এর অভিযোগ, বিজেপি তাঁকে যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার একটিও পূরণ হয়নি। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা রেখেছেন। তাই এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গুরুং-এর হুঁশিয়ারি, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপি উচিত শিক্ষা দেবেন।
আরও পড়ুূন: 'দুর্গার কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা', পঞ্চমীতে বাংলায় টুইট মোদির
গোর্খামুক্তি জনমুক্তির মোর্চার বহিষ্কৃত নেতার সিদ্ধান্তকে করে তৃণমূলও। জানানো হয়, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের উপর ভরসা রেখে শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন ও এনডিএ জোট ছাড়ার বিমল গুরুংয়ের সিদ্ধান্তকে আমরা সমর্থন করছি।' এরপর রাতে দলের তরফে টুইট করে একহাত নেওয়া হয় বিজেপিকে। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, 'বিজেপি গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে রাজনীতির জন্য ব্যবহার করেছিল। তাঁদের সেই ছক এবার সকলের সামনে চলে এল। শুধু তাই নয়, মাতৃভূমির শান্তিরক্ষা ও উন্নয়ন করতে পাহাড়ের সকলপক্ষ এক সঙ্গে লড়াই করারও ডাক দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সল্টেলেকের গোর্খা ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে করতে চেয়েছিলেন বিমল গুরুং। হোয়াটস অ্যাপ মারফৎ সাংবাদিকদের গোর্খা ভবনে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল বিকেল পাঁচটা। বিকেল চারটে নাগাদ সাদা গাড়িতে চলে এসেছিলেন গুরুং নিজেও। কিন্তু গোর্খা ভবনের দরজা খুলতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ। কেন? সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেওয়া হবে না। চল্লিশ মিনিট বাইরে অপেক্ষা করে শেষপর্যন্ত গাড়ি ঘুরিয়ে কলকাতার দিকে চলে যান বিমল গুরুং। কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রোদ্রোহিতা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ, তিন বছর পালিয়ে বেড়ানোর পর সেই বিমল গুরুং-এ কেন তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলালেন? তা নিয়ে নিয়ে কৌতুহল বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী, এই ঘটনার পিছনে গভীর রাজনীতিও খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই।