দোকান খুলতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হল কেশপুরের তৃণমূলের কর্মী। অভিযোগ, সশস্ত্র বিজেপি কর্মীরা এই হামলা করেছে। মুখে ও পিঠে দুটি তীর বিদ্ধ অবস্থায় টাঙিতে জখম ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এলাকায় উত্তেজনা। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে কুমারী বাজার এলাকাতে।
আরও পড়ুন, 'বেপরোয়া লুটে বিধ্বস্ত কোপাইয়ের পাড়', 'শাসকদলের' বিরুদ্ধে ক্ষোভ শান্তিনিকেতনবাসীর
বুধবার সকাল থেকেই কেশপুরের ১৫ নম্বর অঞ্চল এলাকার কইগেড়া এলাকাতে বিজেপি তৃণমূলে একটা সংঘর্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই উত্তেজনার কারণে পাশের গ্রাম কুমারী বাজার এলাকাতে আক্রমণের ঘটনা ঘটে তৃণমূল কর্মীদের ওপর। বুধবার বিকেলে হাবিবুর রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মী বাজারে দোকান খুলতে এলে অতর্কিতভাবে হামলার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার সময়কার ছবি তে দেখা যায় একদল আদিবাসী তীর-ধনুক নিয়ে এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে চলেছেন বাজারে। আক্রমণকারী আদিবাসীরা সকলে বিজেপি কর্মী বলে দাবি তৃণমূলের। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানান,'এলাকাতে বয়কট ঘরছাড়া একাধিক নাটক করে বিজেপি ফ্লপ হয়েছে, রাজনীতি করার কোনও হাতিয়ার না পেয়ে বিশৃংখলার তৈরীর পরিকল্পনা এটা। অতর্কিত ভাবে তৃণমূল কর্মীর ওপর হামলা করে পুনরায় উত্তেজনা তৈরি করেছে। পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।'
তবে ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপির কেশপুর এলাকার নেতা তন্ময় ঘোষ। তিনি বলেন,' হুল দিবস পালন নিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে তৃণমূলের গন্ডগোল হয়েছে। এখানে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই। আদিবাসীরা পাল্টা প্রতিরোধ করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল আক্রমণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে। বিজেপির ওপর ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন।'