বছর শেষের ছুটি মানেই দিঘায় থিকথিকে ভিড়। তার উপর বড়দিনের ছুটিতে দিঘার সমুদ্র সৈকতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। হোটেলগুলিতে ঘরও পান না অনেক পর্যটক। বড়দিনে দিঘার সেই চেনা ছবিটাই অবশ্য এই বছরে একেবারে বদলে গিয়েছে। সমুদ্র সৈকতে চেনা ভিড় নেই, হোটেলগুলিতে অনেক ঘর ফাঁকা।
আচমকা কি তবে দিঘার প্রতি আকর্ষণ কমে গেল পর্যটকদের। দিঘায় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁরা এই যুক্তি মানতে নারাজ। বরং তাঁরা দুষছেন এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলতে থাকা বিতর্ককে। কারণ এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে কয়েকদিন আগেই অশান্ত হয়ে উঠেছিল গোটা রাজ্য। গন্ডগোল বেঁধেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও। দিঘা আসার সড়ক এবং রেলপথে অবরোধ হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ট্রেনও। ফলে ঘুরতে এসে বিপদে পড়ার আশঙ্কাতেই বড়দিনের ছুটিতেও পর্যটকরা আর দিঘামুখো হননি বলেই মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পুজোর ছুটি ছাড়া বছরের এই সময়টা অতিরিক্ত উপার্জন দিঘার পর্যটন ব্যবসার উপর নির্ভরশীল কয়েক হাজার মানুষের। কিন্তু চলতি বছরে রীতিমতো হাত কামড়াচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- হলদিয়া ও দিঘা যাওয়ার পথ অবরুদ্ধ, পুড়ল মোদী-অমিতের কুশপুতুল
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলে গিয়ে বিপত্তি, দিঘায় গুরুতর আহত এক পর্যটক
হোটেল মালিকদের দাবি, আগাম বুকিং করে রাখা ঘরও বহু পর্যটক শুধুমাত্র ঝামেলার আশঙ্কায় বাতিল করে দিয়েছেন। দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোশিয়েশন- এর যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, বড়দিনে অতিরিক্ত ভিড় হবে ধরে নিয়েই পর্যটকদের সুষ্ঠু পরিষেবা ও নিরাপত্তা দেওয়ার যাবতীয় আয়োজন করে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বড়দিনের ছুটিতে সেই পর্যটকদেরই দেখা নেই দিঘায়। হোটেল ব্যবসায়ীদের এখন আশা, রাজ্যের পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়ে যাওয়ায় ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি আবার দিঘায় ভিড় করবেন পর্যটকরা।