হুইপ অমান্য করেই মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মহিষাস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধানকে অপসারিত করতে দলেরই সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করল। শনিবার এই খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
গোষ্ঠী কোন্দল এমনকী পঞ্চায়েত স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যেই মতবিরোধ ক্রমেই যেন শাসক দলের অন্যতম প্রধান মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমনক বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Supremo Mamata Banerjee) নির্দেশই আলগা হল খোদ দলের জনপ্রতিনিধিদের কাছেই! কার্যত হুইপ অমান্য করেই মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস(Trinamool Congress of Murshidabad) পরিচালিত মহিষাস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের(Mahisasthali gram panchayat) প্রধান ও উপ-প্রধানকে অপসারিত করতে দলেরই সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করল। শনিবার এই খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ব্যাপারে স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি(Block Trinamool President) আফরোজ সরকার রাজেশ বলেন, “ দল এই অনাস্থা অনুমোদন করে না। দুই পক্ষকে নিয়ে একাধিক বার আলোচনায় বসা হয়েছে।কিন্তু কোনও পক্ষই কথা শুনতে নারাজ। তাই যে কোনও কৌশলে ওই অনাস্থা আটকাতে আমরা বদ্ধপরিকর"।
এদিকে মোট ২৮ জন সদস্য নিয়ে গঠিত মহিষাস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট আসনের মধ্যে তৃণমূল-কংগ্রেস একাই ২৭ টি আসন দখল করে, বাকি একটি আসনে জয়ী হয় সিপিএমের প্রার্থী। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে সংরক্ষিত মহিলা তপশীলি জাতির প্রতিনিধি হিসেবে দল প্রধান করেন যমুনা রবি দাসকে। পাশাপাশি উপ প্রধান করা হয় মোজাম্মেল হককে। এত দিন সব ঠিক ঠাক চললেও মাস পাঁচেক থেকে ওই পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২১ ডিসেম্বর তারিখে পঞ্চায়েতের তৃণমূল দলের নির্বাচিত সদস্য আবুল বাসারের নেতৃত্বে প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে মোট ১৫ জন সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন-নতুন বছরে নতুন প্রতিজ্ঞা, প্রতিষ্ঠা দিবসে বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তা মমতা-অভিষেকের
পরবর্তীতে ওই অনাস্থার কাঁধে ভর করেই তাদের অপসারণ করতে স্থানীয় বিডিওর কাছে লিখত ভাবে আবেদনও করেন। তার ভিত্তিতে এদিন অপসারণের জন্য আবেদনকারি ১৫ সদস্যকে বিডিও অফিসে ডাকা হয়। আগামীতে অনাস্থার পক্ষে বিপক্ষে ভোটাভুটির দিন ধার্য করবে ব্লক প্রশাসন। এই ব্যাপারে উপ প্রধান মোজাম্মেল হক বলেন, “ আমরা গোটা ঘটনা দলের ব্লক ও জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এখন দল যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তা মানতে বাধ্য।” এদিকে বিপক্ষ শিবিরের পক্ষ থেকে আবুল বাসারের দাবি, “ প্রাধান ও উপ প্রধান পঞ্চায়েতের সদস্যদের মতামতের তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছে মতো কাজ করে। আমরা দল বিরোধী নয়, জেলা সভানেত্রী কে জানিয়েই প্রধান ও উপ প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার পথে হেঁটেছি।”