করোনায় রক্ষে নেই, এবার 'ছাইবৃষ্টি'-তে আতঙ্ক ছড়াল কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলিতে

Published : Mar 28, 2020, 11:01 PM ISTUpdated : Mar 28, 2020, 11:29 PM IST
করোনায় রক্ষে নেই, এবার 'ছাইবৃষ্টি'-তে আতঙ্ক ছড়াল কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলিতে

সংক্ষিপ্ত

  করোনা আতঙ্কের মাঝে নয়া বিপত্তি ভরদুপুরে নামল 'ছাইবৃষ্টি' বিপদের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন জেলায়

এত ছাই এল কোথায় থেকে? লকডাউনের মাঝে নয়া আতঙ্ক ছড়াল কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে। বিপদের আশঙ্কা করছেন বরানগর, বালি, বেলুড়, বেলঘড়িয়া, নাগেরবাজার-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আরও পড়ুন: করোনায় ওষুধ সঙ্কটে রাজ্য, সুগার, প্রেসার থেকে অম্বলের ওষুধ পাওয়া নিয়ে সমস্যা

শনিবারও নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরও দু'জন। করোনা আতঙ্কে বাইরে বেরনোর উপায় নেই। ভ্যাপসা গরমে গৃহবন্দি বেশিরভাগ মানুষই। রাজ্যজুড়ে লকডাউনে ব্যাহত জনজীবন। এই পরিস্থিতিতেই ঘটল বিপত্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শনিবার দুপুরে আচমকাই এলাকার রাস্তায়, এমনকী বাড়ির ছাদেও ছাই উড়ে এসে পড়তে থাকে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই 'ছাইবৃষ্টি'র রহস্যভেদ করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। 

এদিকে এই 'ছাইবৃষ্টি' ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জোর আলোচনা চলছে নেটদুনিয়ায়। নেটিজেনদের কেউ কেউ বলছেন, হুগলির এলাকায় একটি চুল্লি নাকি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেই ছাই উড়ে এসেছে পড়েছে। আবার কারও মতে, বালির নিশ্চিন্দা এলাকায় একটি জমিতে আগুন লাগার কারণেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। তবে সঠিক কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া  যায়নি। কেন হঠাৎ করে ছাই ছড়িয়ে পড়ল বিভিন্ন এলাকায়, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসন ও পুরসভা।

 

আরও পড়ুন: ঘরে ঢুকলে বিপদ হতে পারে, পুরুলিয়ায় গাছেই হোম কোয়রান্টিনে চেন্নাই ফেরত সাত

উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে 'হলুদ বৃষ্টি'-কে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল হাওড়ায় বাগনানে। পাতিনান, কাজিপাড়া, মণ্ডলপাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছিল হলুদ রংয়ে ছোট ছোট ফোটা। শুধু তাই নয়, ওই ফোটাগুলি আবার শক্ত হয়ে গুঁড়ো হলুদের আকার নিয়েছিল। শেষপর্যন্ত 'হলুদ বৃষ্টি'র রহস্যভেদ করেন উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক আক্রামূল হক। তিনি জানান, ফুল থেকে মধু সংগ্রহের সময়ে পরাগও খেয়ে ফেলে মৌমাছিরা। এরপর মধু সংগ্রহ বা বাসাবদলের জন্য ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি যখন এক জায়গা থেকে অন্য় জায়গায় উড়ে যায়, তখন তাদের বিষ্ঠার সঙ্গে ফুলের পরাগ ছড়িয়ে পড়ে প্রকৃতিতে। তেমন  ঘটনাই ঘটেছে বাগনানেও।

PREV
click me!

Recommended Stories

Nabanna Holiday: জানুয়ারিতে পরপর ১০ দিন ছুটি সরকারি কর্মীদের! দুর্দান্ত ঘোষণা নবান্নের
বাবরি মসজিদের জন্য কোটি কোটি টাকা হুমায়ুন কবীরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, তলব করল SBI