সাইক্লোন ইয়াস পরবর্তীতে প্রান্তিক অসহায় দুর্গত মানুষদের হাতে বস্ত্র বিতরণের এক মহৎ পদক্ষেপ নিলেন মালদার চাঁচলের প্রবীণ চিকিৎসক কল্লোল কান্তি সরকার। মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লক মোড়ে নিজের চেম্বারেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে বস্ত্র বিলির কর্মসূচি শুরু করেছেন এই সত্তরোর্দ্ধ চিকিৎসক।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, চাঁচল থানা এলাকার প্রায় দুই শতাধিক অসহায় মানুষের তালিকা করে এই বস্ত্র বিলি করা হচ্ছে। তবে লকডাউনে অনেকেই কর্মহীন। দশ থেকে পনেরো কিমি পথ অতিক্রম করে চেম্বারে এসে বস্ত্র নেওয়া সম্ভব নয় তাদের। তার জন্য এই চিকিৎসক দুর্গতদের যাতায়াত করার ভাড়াও তুলে দিচ্ছেন তাঁদের হাতে। তবে করোনা মুহুর্তে স্বাস্থ্য বিধিকে মান্যতা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে চল্লিশ জন দুর্গতকে বস্ত্র নেওয়ার জন্য ডাকা হচ্ছে চেম্বারে। মঙ্গলবার এরকমই ৪০ জনের হাতে শাড়ি ও লুঙ্গি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, শুধু বস্ত্রদানে থেমে নেই তিনি। এই সত্তরোর্দ্ধ চিকিৎসক করোনার শুরুর সময়ে লকডাউন চলাকালীন প্রায় এক বছর বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেন দুঃস্থদের। বহু রোগী তার চেম্বারে এসে বিনা পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধা নিয়েছেন। প্রায় একবছর ধরে এই পরিষেবা অব্যাহত ছিল। আপাতত নিখরচায় রোগী দেখা থেকে মুলতুবি রেখেছেন। তবে করোনা ভয়াবহতা থাকা সত্ত্বেও এই চিকিৎসক প্রতিদিন নিজের চেম্বারে এসে রোগী দেখছেন। পাশাপাশি তিনি অসহায় রোগীদের হাতে শাড়ী ও লুঙ্গি তুলে দিচ্ছেন।
এব্যাপারে ওই প্রবীণ চিকিৎসক কল্লোল কান্তি সরকার জানিয়েছেন, আমি চাঁচলের ভূমিপুত্র চিকিৎসক। এটা আমার দায়িত্ব। তাই আমি এই মহামারীর সঙ্কটজনক মুহুর্তে আমার এলাকার অসহায় পীড়িত মানুষদের মাঝে কিছুটা সাময়িক স্বস্তির লক্ষ্যে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।